আরাফাত ইসলাম, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাঝ পথে এসে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় বাছাই কমিটির সদস্য সচিব মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের বিরুদ্ধে কমিটির কয়েকজন সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করায় এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই ও বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অধিভুক্ত প্রায় ছয়শ প্রার্থী কমিটি বরাবর আবেদন করেন। গতকাল শনিবার প্রথম দিন উপজেলার মহেড়া, জামুর্কী ও ফতেপুর ইউনিয়নের আবেদনকারীদের সাক্ষাতের সময়সুচী নির্ধারিত ছিল। তবে আগের দিন শুক্রবার সাত সদস্য বিশিষ্ট বাছাই কমিটির অধিকাংশই উক্ত কমিটির সদস্য সচিব ইউএনও’র বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
এই বাছাই কমিটির সভাপতি হলেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ একাব্বর হোসেন। এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস, সাবেক কমান্ডার খলিলুর রহমান, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্য অধ্যাপক আলী আকবর খান ডলার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রতিনিধি আব্দুর সাত্তার ভুইয়া ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাংগঠনিক কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান।
এদিকে তিন ইউনিয়নের আবেদন প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত দিন শনিবার সকালে যাচাই বাছাই কার্যক্রমে অংশ নিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মির্জাপুর উপজেলা সদরে এসে উপস্থিত হন। তারা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত স্থান উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে শুধু কমিটির সদস্য সচিব নির্বাহী অফিসারকে দেখতে পান। এসময় তারা জানতে পারেন কমিটির সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয়ায় যাচাই বাছাই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। পরে দূর-দুরান্ত থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধারা চলে যান।
এ ব্যাপারে, বাছাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে অনাস্থার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কার্যক্রম এর জন্য নির্ধারিত দিন শনিবার যথাসময়ে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু কমিটির অন্যান্য সদস্যরা সেদিন উপস্থিত না থাকায় কোরাম সংকটে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। আর এই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।