নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে দ্বিতীয় দফায় সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ হাই কোর্ট স্থগিত করে দিয়েছে।
আরিফুলের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।
সিলেটের মেয়রকে সাময়িক বরখাস্তের ওই আদেশ কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না’- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত।
স্থানীয় সরকার সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিলেটের পুলিশ কমিশনারসহ ছয়জনকে তিন দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরিফুলের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মইনুল হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আবদুল হালিম কাফি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
বিএনপি নেতা আরিফুল উচ্চ আদালতের ছাড়পত্র নিয়ে রোববার মেয়রের দায়িত্বে ফেরার তিন ঘণ্টার মাথায় তাকে ফের বরখাস্ত করে সরকার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, সিলেটের মেয়র আরিফুরের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি ফৌজদারী মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ সুনামগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে গৃহীত হয়েছে। এ কারণে স্থানীয় সরকার (সিটি কপোরেশন) আইন অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জে ২০০৪ সালের ২১ জুন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনায় করা এক মামলায় গতবছর কারাবন্দি আরিফুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে ওই মামলায় পুলিশ সম্পূরক অভিযোগপত্র দিলে তাতে আরিফুলের নাম যোগ করা হয়।
আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন ২০১৩ সালে ১৫ জুন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের একটি আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সিলেটের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সাময়িক বরখাস্ত আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন আরিফুল। তার আবেদনে গত ১২ মার্চ বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাই কোর্ট। আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে।
আদালতের আদেশ নিজের পক্ষে পাওযার পর আরিফুল রোববার মেয়রের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরপরই আবারও তাকে বরখাস্তের আদেশ আসে।