Sunday, January 7, 2024

দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, ভোট দিতে চায়: শেখ হাসিনা

0
blank

সিলেট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, ভোট দিতে চায়। আমরা ভোটের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়েছি আমাদের দলকেও। সবাই দাঁড়াবে, সবাই কাজ করবে। জনগণ যাকে বেছে নিবে, সেটাই। বুধবার বিকেলে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনসভার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি হজরত শাহজালাল ও শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা যখন উন্নয়নের কাজ করছি, তখন তারা (বিএনপি) আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে। কোনো মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব থাকলে এভাবে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে হত্যা করা হয় না। মা তার শিশুকে বুকে জড়িয়ে ধরে আছে। কিন্তু মা-শিশু কয়লা হয়ে গেছে। তারা আগুন দিয়ে রেল, বাস পোড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালেও এভাবে আগুন দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে তারা। নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে ৫৮২টি স্কুল, ৭০টা সরকারি অফিস, ৬টি ভূমি অফিস, ৩ হাজার ২৫২টি গাড়ি পুড়িয়ে ও ভাঙচুর করে। তারা মানুষকে পুড়িয়ে কয়লা করে ফেলে। ২৯টি রেলগাড়ি পুড়িয়ে তিন হাজারের মতো মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ৫০০ মানুষকে হত্যা করে। এখনো তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। অগ্নি সন্ত্রাস করে তারা নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৪ সালে মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে। আমরা সরকারে এসেছি। ২০১৮ সালেও নির্বাচনে এসেও নমিনেশন বাণিজ্য শুরু করে। তাদের নির্বাচন শেষ। দোষ কার- দোষতো তাদের।

অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি

0
blank

স্টাফ রিপোর্টার: সরকার পতনের একদফা দাবিতে আজ বুধবার থেকে ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। আজ দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর আগে ফেসবুক লাইভে এসে ভোটবর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে বক্তব্য রাখেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরপর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের তরফ থেকে বলছি, যে অবৈধ সরকার জনমতের বিরুদ্ধে নির্বাচনের নামে তামাশা করতে যাচ্ছে- সেই সরকারকে সহযোগিতা করা কোনো দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী নাগরিকের জন্য উচিত হতে পারে না বলেই আমরা আজ এই মুহূর্ত থেকে এই অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এই লক্ষ্যে- ৭ জানুয়ারি ডামি ভোটের খেলা বর্জন করুন। ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন। সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল ও অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকগুলো সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম বিধায় ব্যাংকে লেনদেন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় অভিযুক্তগণ মামলায় হাজিরা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। জনগণের আন্দোলনের ফলে দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে এইসব অসহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্তগণ যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং সুবিচার পাবেন।


স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের অনেক সাথী জীবন দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, বন্দী ও আহত হয়েছেন। কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে ও চলবে। জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও লড়াইয়ের বিজয় অবশ্যম্ভাবী ও অনিবার্য।

বিএনপি পালিয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

0
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক যোগাযোগ এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিলেটবাসীর খবর কি? এখানে বিএনপি আছে? বিএনপি পালিয়ে গেছে। এখন বিএনপি লাল কার্ড পেয়ে গেছে। তারা আগুনের খেলা খেলে সেই আগুনে নিজেরা পুড়ে মরছে। বিএনপিকে বাংলার মাটিতে মানুষ চায়না। এদের প্রতিহত করতে হবে। এরা থাকলে বাংলাদেশে শান্তি থাকবেনা উন্নয়ন হবেনা। জনগন তাদের লাল কার্ড দিয়েছে। বুধবার বিকালে সিলেটের ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন কোথায়? তারা পালিয়ে গেছে। তারা ভুয়া। তাদের হরতাল অবরোধ ইত্যাদি কর্মসূচি ভুয়া। তারা বলেছিলেন ডিসেম্বরে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবেন। কিন্তু কে পালিয়েছে দেশের মানুষ এব্ং বিম্ববাসী তা দেখছে। বিএনপির দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। তাদের জনগন লাল কার্ড দিয়েছেন। আগুন নিয়ে খেলবেন না। নিজেদের পুড়ে মরতে হবে।

সভাটি সঞ্চালনা করছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান এবং সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।

বিএনপি নেতাদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী

0
blank
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বিএনপি নির্বাচনে এলে সব নেতাদের মুক্তি দেয়া হবে কৃষিমন্ত্রীর দেয়া এমন বক্তব্যের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কৃষিমন্ত্রী যা বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটা দলের অভিমত নয়। বিএনপির যেসব নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিচার ও জামিনের বিষয়ে একমাত্র আদালত কথা বলতে পারবে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়র সড়ক বাজার এলাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে বিএনপি যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করে স্বৈরশাসন চালাচ্ছিল তখন বিচার বিভাগকে করাপ্ট করা হয়েছে। এখন সে অবস্থা নেই। বর্তমানে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন।

মন্ত্রী আরো বলেন, বিগত ১০ বছরে কসবা-আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের ভালোবাসায় আগামীতেও এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা হবে। পরে মন্ত্রী খরমপুর কল্লা শহীদের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন।

এ সময় আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : ইউএনবি

জগন্নাথপুরে মোটরসাইকেল ও মিশুক সংঘর্ষে নিহত ১

0
blank

তৈয়বুর রহমান, জগন্নাথপুর: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মোটরসাইকেল ও যাত্রীবাহী মিশুক গাড়ির সংঘর্ষে এক মাটিকাটা ঠিকাদার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরেকজন আহত হন। জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে মোটরসাইকেল ও যাত্রীবাহী মিশুক গাড়ির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মাটিকাটা ঠিকাদার আলী হোসেন বুলবুল (৫০) নামের মোটরসাইকেল চালক নিহত হন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার চিল্লি গ্রামের সুলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাগিচাবাজার এলাকার গোদামঘাটে ভাড়াটে বসবাস করছিলেন। জগন্নাথপুর উপজেলার উলুকান্দি এলাকায় মাটিকাটা কাজ তদারকি শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এ সময় তার সাথে থাকা আরেক মোটরসাইকেল আরোহী ইসলাম উদ্দিন আহত হন। তিনি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা। এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.মনিরুজ্জামান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই আলী হোসেন বুলবুলের মৃত্যু হয়েছে।

সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী

0
blank

সিলেট: আগামীকাল বুধবার সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে তিনি সরাসরি দেশের বিভিন্ন জেলা সফর করবেন এবং ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলায় সংযুক্ত হয়ে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন। বুধবার হজরত শাহজালাল ও হজরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে সিলেট সফর শুরু করবেন শেখ হাসিনা। এরপর সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।

সে জনসভা থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন। মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান গণমাধ্যমকে জানান, আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা।

আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফরে যাবেন শেখ হাসিনা। এদিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

সাড়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে ১৪ ব্যাংক

0
blank

নিউজ ডেস্ক: ব্যাংকিং খাতে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। ফলে বেড়েই চলেছে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ। কিন্তু এ ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণ করতে পারছে না অনেক ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, ১৪টি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি হয়েছে ৩৭ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। এ হিসাব সেপ্টেম্বরের। অথচ তিন মাস আগে অর্থাৎ জুন শেষে এ মূলধন ঘাটতি ছিল ৩৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে মূলধন ঘাটতি বেড়েছে প্রায় পৌনে চার হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোর মধ্যে ছয়টি সরকারি, ছয়টি বেসরকারি এবং দুটি বিদেশী ব্যাংক রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, মূলধন সংরক্ষণ করতে না পারলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তিতে ব্যয় বেড়ে যায়। কারণ, মূলধন ঘাটতি থাকলে ব্যাংকিং খাতের রেটিং খারাপ হয়। ফলে পণ্য আমদানিতে দেশীয় ব্যাংকগুলোর গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। ফলে থার্ডপার্টি গ্যারান্টির মাধ্যমে পণ্য আমদানি করতে হয়। এতে ব্যয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় এ ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মূলধন ঘাটতিতে থাকা সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- অগ্রণী, বেসিক, জনতা ও রূপালী ব্যাংক। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী, ন্যাশনাল ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংক। এ ছাড়া বিদেশী ব্যাংকগুলোর মধ্যে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান রয়েছে তালিকায়।

জানা গেছে, সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, বছরের পর বছর কোনো ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি থাকতে পারবে না। আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত মেনে নেবে। দুই বছরের পর মূলধন ঘাটতি হলে ওই ব্যাংককে হয় মার্জার অর্থাৎ অন্য কোনো ব্যাংকের সাথে একীভূত হয়ে যেতে হবে, অথবা বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণে কোনো ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি হলে, তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কীভাবে মূলধন ঘাটতি পূরণ করবে তার পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ে সময়ে তা মনিটরিং করবে। এভাবে দুই বছর পর আইন অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু বছরের পর বছর ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি দেখা দিলেও এর বিরুদ্ধে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।

ব্যাংকাররা জানান, আমানতকারীদের অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যাংকিংয়ের আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, সব ব্যাংককে একটি নির্দিষ্ট হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের অর্থ ও প্রতি বছরের মুনাফা থেকে এ মূলধন সংরক্ষণের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে মূলধন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বা রিস্ক ওয়েটেড অ্যাসেটের ১০ শতাংশ এবং এর সাথে আরো ২.৫ শতাংশ বাফার সংরক্ষণ বা ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যেসব ব্যাংক এ নীতিমালা অনুযায়ী মূলধন সংরক্ষণ করতে পারে না, সেসব ব্যাংককে মূলধন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূলধন ঘাটতিতে থাকা সেসব ব্যাংক শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর শেষে অগ্রণী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৪৮২৯ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের ঘাটতি ৩১৫০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ৩০৩০ কোটি টাকা এবং রূপালী ব্যাংকের ২১২২ কোটি টাকা। মূলধন ঘাটতির সাথে রূপালী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনও রয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় কম। ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন রাখার শর্ত অনুযায়ী ব্যাংকটির রয়েছে ৪৬৫ কোটি টাকা। সরকারি খাতের বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি ১৫৮০৪ কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ঘাটতি ২৪৭২ কোটি টাকা।

বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি ১৪০২ কোটি টাকা, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৭১ কোটি টাকা, সিটিজেন ব্যাংকের ৯৫ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ১৮২৩ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২০২৪ কোটি টাকা। সাবেক ফারমার্স বা বর্তমান পদ্মা ব্যাংকের ঘাটতি ৬০৮ কোটি টাকা।

এ ছাড়া বিদেশী খাতের হাবিব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৩৩.৪০ কোটি টাকা এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঘাটতি ৪৩.৬৫ কোটি টাকা।

কানাডার নাগরিকত্ব পাবেন অবৈধ অভিবাসীরা

0
blank

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাগজপত্র ও অনুমতিবিহীন অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা। দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইলের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানিয়েছেন।

অভিবাসনমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর যে ৫ লাখ অভিবাসীকে আনার পরিকল্পনা কানাডা করছে; সেটির অংশ হিসেবে অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

অভিবাসন কানাডার অর্থনীতির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অধিকহারে অভিবাসী আসায় সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটিকে কানাডার মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে কানাডায় ৩ থেকে ৬ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন। এসব অভিবাসী নির্বাসনের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

আওয়াবীন নামাজের ফজিলত

0
blank

ধর্ম ডেস্ক:
মাগরিবের পর থেকে এশার পর্যন্ত সময়টুকুর মাঝে যে নফল নামাজ পড়া হয় তাকে আওয়াবীন বলে। আওয়াবীন নামাজের ফজিলতের কথা হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

مَنْ صَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ بَعْدَ الْمَغْرِبِ لَمْ يَتَكَلَّمْ بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ عُدِلَتْ لَهُ عِبَادَةَ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً

‘যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর ছয় রাকাত নামাজ পড়লো এবং এ নামাজের মাঝখানে কোনো অশিষ্ট কথা বলেনি, তাকে বারো বছরের ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস, ১৩৭৪)

আরেক হাদিসে এসেছে,

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: إِنَّ الْمَلائِكَةَ لَتَحُفُّ بِالَّذِينَ يُصَلُّونَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ إِلَى الْعِشَاءِ، وَهِيَ صَلاةُ الأَوَّابِينَ


‘ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নিশ্চয়ই ফেরেশতারা ওই সকল নামাজিদের বেষ্টন করে নেয় যারা মাগরিব ও এশার মাঝখানে নামাজ পড়ে থাকে। সেটি হল আওয়াবীনের নামাজ।’ (শরহুস সুন্নাহ, বাগাবী, হাদিস, ৮৯৭)

ভারতকে বিদায় করে ফাইনালে বাংলাদেশ

0
blank

নিউজ ডেস্ক:
ভারত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ শিরোপাও তাদের (৮ বার)। সেই ভারতকেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় করলো বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়নদের ৪ উইকেট আর ৪৩ বল হাতে রেখে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে টাইগার যুবারা।

বাংলাদেশের লক্ষ্য খুব বড় না হলেও একটু দুশ্চিন্তা ছিলই। ১৮৯ তাড়া করতে নেমে যে ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল যুবা টাইগাররা।


তবে সেখান থেকে আরিফুল ইসলাম খেললেন চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। শুরুতে ইনিংস মেরামতে মনোযোগ দিলেন, সেট হয়ে মাঠ গরম করলেন চার-ছক্কায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। ব্যক্তিগত ৯৪ রানে থাকার সময় ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে।

তবে আরিফুল ফিরলেও তখন জয় বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। শেষদিকে অবশ্য ভারত বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নেয়। নাহলে বাংলাদেশের জয়টা আরও বড় হতে পারতো।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল যুবা টাইগাররা। প্রথম ওভারেই রাজ লিম্বানির বলে বোল্ড হন ওপেনার জিসান আলম। গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০) ফেরেন তিনি।

১৯ বলে ১৩ করে নামান তিওয়ারির শিকার হন চৌধুরী মো. রিজওয়ান। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আশিকুর রহমান শিবলির ওপর ভরসা ছিল। কিন্তু ২২ বলে ৭ করে রানআউটে কাটা পড়েন এই ওপেনার।


সেখান থেকে আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিনের ১৩৮ রানের জুটিতে ম্যাচ জেতা নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। এ জুটিতে মূল ভূমিকা আরিফুলেরই। তবে ৯০ বলে ৯ চার আর ৪ ছক্কায় ৯৪ রান করে ভারতীয় পেসার রাজ লিম্বানিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই ভুল করেছেন তিনি। ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয়েছে সাজঘরে।

এরপরই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আউট হন মোহাম্মদ শিহাব (৭ বলে ৯) আর শেষদিকে এসে উইকেট বিলিয়ে আসেন আরিফুলের সঙ্গে ম্যাচ জেতানো জুটি গড়া আহরারও। ১০১ বলে ৪৪ রান করেন তিনি।

এর আগে দারুণ বোলিংয়ে ভারতকে ১৮৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। টাইগার পেসারদের তোপের মুখে শুরুতে দাঁড়াতেই পারছিল না ভারতীয় ব্যাটাররা। ৬১ রানে ভারতের ৬ উইকেট তুলে নেন তারা।

শেষদিকে মুশের খান ও মুরুগান অভিশেকের দুই ফিফটিতে সম্মানজনক স্কোরই পেয়ে যায় উদয় শাহারানের দল। ৪২.৪ ওভার খেলে ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছে তারা।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আরব আমিরাতের আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ২ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আদর্শ সিং। বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর ৬ বলে ১ রান করা আরেক ওপেনার আর্শিন কুলকার্নিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মৃধা।

অধিনায়ক উদয় শাহারানকে রানের খাতাই খুলতে দেননি মারুফ। অর্থাৎ প্রথম তিন উইকেটের তিনটিই শিকার করেন এই বাঁহাতি পেসার।

এরপর দলের হাল ধরান চেষ্টা করেন প্রিয়ানসু মলিয়া ও শচিন দাস। তবে বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি শচিন। ২৩ রানের জুটিটি ভেঙে দেন ডানহাতি পেসার রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ। ৩৬ রানে ছিল না ভারতের ৪ উইকেট।

এরপর প্রিয়ানসু মলিয়া ও মুশের খানের ২৫ রানের জুটি দলীয় স্কোর ৬১ রানে নিয়ে যায়। ১৬ তম ওভারে জোড়া আঘাতে মলিয়াকে ১৯ রানে ও অ্যারাভেলি আভিনিশকে ০ রানে ফেরান ডানহাতি পেসার বর্ষণ। তখন মনে হয়েছিল ভারতকে ১০০ রানের আগেই গুটিয়ে দিতে পারবে বাংলাদেশ।

কিন্তু সেটি হতে দেয়নি মুশের ও মুরুগান অভিশেকের করা সপ্তম উইকেটের জুটি। ১০৮ বলে ৮৪ রানের পার্টনারশিপে তারা দলকে নিয়ে যান ১৪৫ রানে। মুশের ফিফটি হাকিঁয়ে (৬১ বলে ৫০) রাব্বির বলে আরিফের হাতে ক্যাচ হন। এরপর ৩ রান দলীয় স্কোরকার্ডে তিন রান যোগ না হতেই ফেরত যান নতুন ব্যাটার সৌমি পান্ডে।

মুরুগানও হাকাঁন ফিফটি। অবশেষে ৭৪ বলে ৬২ রান (৬ চার ও ২ ছক্কা) করে মারুফের বলে জিসান আলমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট (৪১ রান খরচায়) শিকার করেন মারুফ মৃধা। ২টি উইকেট তুলে নেন রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন।