ঢাকা: গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মামলায় একটি ব্যাংকের সামান্য এমডি পদ হারিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সমানে অপ্রচার চালিয়েছেন তিনি। বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা ফিরে না পাওয়ার পিছনে ‘অন্য কোনো পরাশক্তির’ ইন্ধন আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন পরাশক্তি নয়, বরং কিছু অপশক্তি; দেশের বাইরের নয়, বরং দেশের অভ্যন্তরের তাদের কারও কারও ব্যক্তি স্বার্থে আঘাত লাগায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালায়। আর অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এই বাংলাদেশে যিনি এক সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। অবশ্য এখন এ ধরণের কোন পদে নেই কিন্তু একটি দলের নেতা। সেই দলের নেতা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে জিএসপি যাতে বন্ধ হয় তার আবেদন করেছিলেন। তিনি ওয়াশিংটনের কোনো এক অখ্যাত পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছিলেন, যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত আর ব্যাংকের এমডি মিলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অনেক চেষ্টা ও অপকর্ম করেছে কিন্তু অগ্রযাত্রা বন্ধ করতে পারেনি। অহেতুক বিনা কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সেতু নির্মাণ ঠেকাতে পারেনি, আমরা নিজেরাই এই সেতু নির্মাণ করছি। কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কোনো কোনো ব্যক্তি হয়তো একটি পদের জন্য। একটি ব্যাংকের সামান্য এমডি পদটি মামলা করে হারনোর পরে তিনি এতই ক্ষীপ্ত হয়ে যান যে সেখানে সরকারের বিরুদ্ধে সমানে অপ্রচার চালান। যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে একটি দৈনিকে প্রকাশিথ খবরের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতা বিরোধিতাকারী হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর দোসর জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি অর্থ দিয়ে লবিস্ট রেখে বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার পরিচালিত করছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিএনপি-জামায়াত উঠে পড়ে লেগেছে। কথায় বলে, ঘরের শত্রু বিভীষণ।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগষ্ট কারো জন্মদিন হতেই পারে। এদিন যে কারও জন্মদিন হবে না সেটা তো নয়। কিন্তু যার জন্মদিন না, অথচ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে তিনি মিথ্যা জন্মদিন ঘোষণা দিয়ে ও বিশাল বিশাল কেক- যত বয়স তত বড় কেক কেটে উৎসবে পরিণত করেছেন। অর্থাৎ খুনীদের উৎসাহিত করা, খুনকে ও হত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার মতো বিকৃত মানিসকতাও দেখছি। তবে এই মিথ্যা জন্মদিন পালনের বিষয়টি দেশের মানুষ আজ বুঝতে পেরেছে। এই ধরনের ঘটনাকে সাধারণ মানুষ ধিক্কারও দিচ্ছে। অবশ্য এখনো এটার পরিবর্তন ঘটেনি। তবে সময়ের বিবর্তনে এটারও পরিবর্তন হবে।