ঢাকা: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বোর্ড অব ডাইরেক্টরসের সভা শুক্রবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ব্যাংকের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় দেশি-বিদেশি ডাইরেক্টরসহ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান এবং শরী‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব ও ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবু বকর রফীক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের বলেন, ইসলামী ব্যাংক বহুমুখী বাণিজ্যিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে। বর্তমান সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আনতে কাজ করছে। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক সরকারের সহায়ক হিসেবে এ উদ্দেশ্যেই কাজ করছে।
ইসলামী ব্যাংক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসিসহ সকল নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন, নির্দেশনা এবং নীতিমালা যথাযথ পরিপালন করতে ইসলামী ব্যাংক মানসিক, নৈতিক এবং প্রায়োগিক ক্ষেত্রেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, শরীআহ’র নীতিমালা শতভাগ পালন করতে এ ব্যাংক বদ্ধপরিকর। শুরু থেকে ইসলামী ব্যাংক আমানত, বিনিয়োগ, নিয়োগ ও ব্যয়সহ সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে আসছে।
আবু নাসের আবদুজ জাহের বলেন, আমাদের সকল ব্যাংকিং লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অভ্যন্তরীণ ও বহিঃনিরীক্ষক দ্বারা নিরীক্ষিত এবং বিধিবদ্ধ।
তিনি বলেন, কোনো যথাযথ ও রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের পরিদর্শনের জন্য ইসলামী ব্যাংকের সকল কার্যক্রম উন্মুক্ত।
ইসলামী ব্যাংক চেয়ারম্যান বলেন, নৈতিকতা, আইন, দেশ ও সমাজবিরোধী কোন কাজে ইসলামী ব্যাংক কখনো কোনো বিনিয়োগ বা সহায়তা করেনি। যে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংক সবসময় জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করেছে।
তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের ষোল কোটি মানুষের ব্যাংক। জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও দল-মত নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করছে এ ব্যাংক।
আবু নাসের আবদুজ জাহের বলেন, ব্যাংকের আমানত ও বিনিয়োগ গ্রাহকদের মধ্যে একটি বিশাল অংশ অমুসলিম। ব্যাংকের আরডিএস গ্রাহক ও সুবিধাভোগীদের মধ্যে একটি বৃহৎ অংশ অমুসলিম ও নারী।
তিনি এ ব্যাংক সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সকলকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান।
সভায় ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এ যাবৎ অর্জিত সাফল্য ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া দেশের সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি উন্নয়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়।