জগন্নাথপুর: ‘ইদন আলি’ সমাজের একটি বিরাট অংশের প্রতিচ্ছবি। একটি ইতিহাস। ‘ইদন আলি’ আমাদের অবহেলিত সমাজের একটি প্রতিকি নাম। তিনি একসময় আমার দাদার বন্দু চিলেন। পরে আমার বাবার বন্দু। এখন আমার এবং আমার ছেলের বন্দু আছেন। আরো মজার ব্যেপার হল ইতি মধ্যে আমার নাতি ও বন্দু ডাকা শুরু করে দিয়েছে।
৭ নং সৈয়দপুর-শাহাড়পাড়া ইউনিয়নের আমি আপনাদের দৃস্টি আকর্ষণ করে বলছি। আমি আপনাদেরকে অনুরুধ করছি শুধু একবার এই লেখাটা পরবেন এবং আপনাদের সুপরিচিত ‘ইদন আলি’র হাল অবস্তাটা যেনে নিবেন। সে এখন আর চলতে পারেনা। তার মত হাজারও ইদন আলি আপনাদেরই সমাজের বাসিন্দা। আল্লাহ পাক যেভাবে ইসলামের ৫ টি স্তম্ব ফরজ করেছেন টিক এইভাবে এদের দেখাশোনাও আপনার উপর ফরজ করেছেন। মনে রাখবেন হাশরের ময়ধানে ৫টা প্রশ্নের জবাব না দিয়ে একটা কদমও দিতে পারিবেন না। আর তারমধ্যে ৩টাই হচ্ছে তুমার ব্যেক্তিগত। জীবনকে কি কাজে ব্যেয় করেছ আয় কি ভাবে করেছ এবং ব্যয় কোনপতে করেছ। তাই আমি বলি কনস্থায়ী জীবনের সম্পদকে চিরস্তায়ি করার একমাত্র কাজই হচ্ছে এই ‘ইদন আলি’ প্রজেক্ট যে যত পারেন এই রকম প্রজেক্ট তৈরী করেন কাজে লাগবে।
সম্মানিত পাঠক বন্দুরা আপনাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই। আজকের এই লিখাটা একজন ইদন আলিকে গিরে যার পুরাটাই একটা এলাকা ভিত্তিক এবং প্রতিবাদন ও বলতে পারেন। তাই সকলের কাছে কমা চেয়ে আমি আমার মুল বিশয়ের প্রতি নজর দিতে চাই।
সম্মানিত ৭নং সৈয়দপুর শাহাড়পাড়া ইউনিয়নের ছোট-বড় সকল শ্রেনির আমার শ্রদ্ধেয় ইউনিয়ন বাসী আসসালামু আলাইকুম। আমার জানামতে ইদন আলিকে চিনেন না এমন মানুষের শংক্ষা হাতেগনা কয়েকজন ছাড়া আমরা সবাই তাকে খুবই ভাল করে জানি। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে ইদন আলি’র মত সকল অসহায় মানুষের পাশে দাড়াই।
কিন্তু চিনার ধরনটা একেক জনের কাছে একেক রকম। যেমন কেউ চিনি বিক্ষুক হিসেবে, কেউ চিনি খুবই অপরিস্কার চন্ন্য চাড়া মানুষ হিসেবে। আবার কেউ চিনি সকলের বন্দু অথবা কুটুম হিসেবে। আমার জানামতে তার আত্ত্যিয় ছাড়াও কেউ নাই। তাও জানি তার আত্ত্যিয় বলতেও কেউ নাই। তাকে নিয়ে হাশি তামসা করার লোকের কোনো অভাব নাই। আবার রোগ শোকে ঘরে পরে থাকলে জিজ্ঞাস করারও কেউনাই।
কিন্তু আমরা সবাই তার কুটুম সবাই তার বন্দু। সবাই জানি সে যদি একদিন ঘর থেকে বাহির না হয় তাহা হইলে উপভাস ছাড়া তার কোনো উপায় নাই। এমনকি সে ছাড়া পরিবারে ভিক্ষা করেও একটা টাকা আনাবার মত ও কেউ নাই কারন তার বউ থেকে আরম্ব করে বাকি সবাই প্রতিবনন্দি।
বন্দুরা ইদন আলির বংশ পরিচয় সমর্ক আমার এখানে বলার প্রয়োজন নাই। যাদের জানার আগ্রহ আছে একটু চেস্টা করলেই যেনে নেওয়া অসম্ভব নয়। বন্দুগন আমি বলব জানেন ইদন আলির শারিরিক মানষিক এবং অর্থনৈতিক অবস্তা আমাদের জানার প্রয়োয়ন। যেভাবে মানুষ সামাজিক জীব হিসাবে প্রয়োয়ন টিক সেভাবে কোরান হাদিছ এবং মুসলমান হিসাবেও প্রয়োজন। তাই আমি আল্লাহ্র শুক্রিয়া আদায় করি যে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমাকে অন্ততপক্ষে শারিরিক মানষিক এবং অর্থনিতিক দিক থেকে অনেক ভাল অবস্তায় যেহেতু রেকেছেন। তাহা হইলে কোরান হাদিছ মুসলমান হিসাবে যদি না ও করি। সামাজিক জীব হিসাবেও ত আমার কিছু করা প্রয়োজন। তাই আমি এই অবহেলিত সমাজের প্রতিচ্ছবি হিসাবে ইদন আলিকেই বেছে নিলাম। কারন যে মানু্যটার এত পরিচিতি এত কুটুম এত আত্ত্যিয়, এত বন্দু থাকা সত্যেও বিত্তবান সমাজের কেউ যদি তার প্রতি একটু সাহায্য সহযোগিতা না করে তাহলে যাদের কোনো পরিচতি নাই অবহেলিত সমাজের অন্ধকারে ডুবে আছে তাদের কথাত চিন্তাই করা যায় না। তাই আমি আমার অবস্তানের উপর ধারিয়ে সেই সুপরিচিত ইদন আলিকে অবলম্ভন করে একটা প্রজেক্টস তৈরি করি। আর তা হচ্ছে আমাদের ইউনিয়নের মধ্যে বৎসরে বারোটা এলাকায় বারো মাসে বারোটা অনুদান দিব। আর এই বারোটা অনুদানের নেত্রিত্বে থাকবে আমাদের সবার কুটুম ইদন আলি।
আমার উদ্যেস্য এবং লক্ষ আমার এই ক্ষুদ্র প্রজেক্টের মাধ্যমে যদি কোনো বিত্তবান ব্যক্তি অনুপ্রানিত হয়ে তার নিজের এলাকার ক্ষুধাপিরিত মানুষের মাঝে একটা টাকা ও সাহায্য করেন। তাহলে আমি আমাকে ধন্য মনে করিব। আর যদি তার থেকে কোনো হতভাগা আমার জন্য দুওয়া করেন। সেই দুওয়া আমি সমস্ত মুস্লিম উম্মাহ এবং আমার মা বাবার নামে উত্যসর্গ করিব। এর বাহিরে আমার চাওয়া পাওয়া কিছুই নাই।
তাই আসুন আমরা সবাই মিলে ইদন আলি’র মত সকল অসহায় মানুষের পাশে দাড়াই। অসায় মানুষের কান্না যেন আমরা আর না শুণি। ইতি-
সৈয়দ কবির আহমদ
যুক্তরাজ্য প্রবাসী।
জীবন সদস্য: ডেইলী আমার বাংলা
সদস্য সচিব: বৃটিশ-বাংলা খালিদ মিয়া ট্রস্ট।
ডেইলী আমার বাংলা এর জীবন সদস্য ও বৃটিশ-বাংলা খালিদ মিয়া ট্রস্ট এর সদস্য সচিব: সৈয়দ কবির আহমদ এগিয়ে যাও।। ইনশা আল্লাহ আপনি সফল হবেন।।
Good
ডেইলী আমার বাংলা এর জীবন সদস্য জনাব সৈয়দ কবির আহমদ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Good work
Comments are closed.