Home বিভাগীয় সংবাদ একরাতেই বদলে গেছে নগরী

একরাতেই বদলে গেছে নগরী

684
0

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঠিক আগের দিন যেখানে সিলেট শহর ছিল একেবারেই ফাঁকা। পোস্টারের ছিটেফোঁটাও ছিলো না। সেখানে মাত্র একরাতেই বদলে গেছে নির্বাচনের শহর সিলেট। পোস্টারে পোস্টারে রাতারাতি এমন পাল্টে যাওয়া শহর মানুষকে যেমন অবাক করেছে তেমনি করেছে নির্বাচনমুখী।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে সিলেটে এখন উৎসবের আমেজ। নগরীর প্রতিটি অলি গলি ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টারে। বুধবার নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডের অলি গলি ছেয়ে গেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোস্টারে। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নেমেছেন আটঘাট বেঁধে।

প্রতীক বরাদ্দের একরাতের মধ্যেই সবাই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা সাজিয়েছেন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে। প্রতিটি সড়ক বিভাজক, বৈদ্যুতিক খুটিতে টানানো হয়েছে ব্যানার। ভোর হতে না হতেই এ যেন অন্য নগরী, এ যেনো সত্যিকার অর্থেই ভোটের আমেজ, ভোটের উৎসবে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী।

প্রার্থীদের থেকেও কয়েকগুণ বেশি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ছাপাখানার মালিকরা। দিন নেই রাত নেই শুধু পোস্টার, লিফলেট ছাপার কাজ। কথা বলার ফুরসত নেই।

ছাপাখানা ব্যবসায়ী মেহেদী কাবুল জানান, প্রার্থীদের প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই একরকম হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন সবাই। নিয়মিত শ্রমিকে কুলিয়ে উঠতে না পেরে বাইরে থেকেও কয়েকজনকে আনানো হয়েছে, তবুও দম ফেলার সময় নেই। কাল বিকেল থেকে এখন পর্যন্ত চলছেই। ছাপানোর পর প্রার্থীদের লোকজন সাথে সাথেই পোস্টার লাগানোর জন্য নিয়ে যান।

পোস্টারের পাশাপাশি চলছে মাইকিংও, নানান ঢঙয়ে সুরে সুরে চলছে প্রার্থী বন্দনা। নগরীর অলিতে গলিতে মাইকিংয়ে জনতার দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে প্রার্থীর পরিচিতি, তার পরিকল্পনা। সব মিলিয়ে নির্বাচন নিয়ে উৎসবে মেতেছে সিলেট।

এদিকে পাড়ায় মহল্লায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় মেয়র প্রার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। স্থাপন করা হয়েছে মেয়রপ্রার্থীদের প্রধান নির্বাচনীর কার্যালয়।

বুধবার বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী তাঁর দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট, বন্দর বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাবেক সাংসদ ও বিএনপি নেতা কলিম উদ্দিন আহমদ, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গৌস, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আজমল বখত সাদেকসহ বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দ। কোর্ট পয়েন্ট থেকে ৪টি দলে বিভক্ত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন।

বদর উদ্দিন কামরান প্রচারণা চালান নগরীর রিকাবীবাজার, মধুশহীদ, কাজলশাহ এলাকায়। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মইনুল হক ইলিয়াছিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এসময় তাঁরা নৌকা প্রতীকে কামরানের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন।

Previous articleআইন হবে জন ও মিডিয়াবান্ধব: আইনমন্ত্রী
Next articleধারণক্ষমতার তিনগুন বন্দি কারাগারে রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী