ঢাকা: জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি স্বীকার করে বলেন, গত ১ নভেম্বর দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের (ব্লাকআউট) পর এখনো উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে বুধবার সকালে পহেলা নভেম্বরের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার ঝুঁকির বিষয়টি নিজেই তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের একটি ডিজিটাল রেখাচিত্র সাংবাদিকদের সামনে প্রদর্শন করে নসরুল হামিদ বলেন, স্বাভাবিক হিসাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের গতি ৪০ থেকে ৪৬ মানের মধ্যে ওঠানামা করলে ভালো। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের গতি ৪৯ থেকে ৫৬। এই গতিকে তিনি ঝুঁকিপূর্ণ বলে অবিহিত করেন।
এই অবস্থার মধ্যে যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ম্যানুয়ালি দায়িত্ব পালন করায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় জড়িতরাও মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন। আমরা চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অটোমেটিক পদ্ধতিতে রূপান্তর করা যায় তার জন্য।
এদিকে, গত পহেলা নভেম্বরের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারেননি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। তার মতে, বিদ্যুতের চাহিদা ও যোগানের সামঞ্জস্যতা নিয়ন্ত্রণ হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এ কারণেই মূলত ব্ল্যাক আউটের ঘটনা ঘটেছে।
সুপারিশ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার লোকবল নিয়ে আমাদের ১১ হাজারের বেশি মেগাওয়াটের ব্যবস্থাপনা করতে হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে কাউকে দোষারোপ করে সময়ক্ষেপণ করতে চাই না।