Home আইন এটিএম আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল

এটিএম আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল

785
0

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে আনা দুই তিন ও চার নম্বর অভিযোগের সাজা সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বহাল রাখা হয়। এছাড়া ৬ নম্বর অভিযোগে ও এটিএম আজহারের কে ট্রাইব্যুনালের দেয়া সাজা বহাল রাখা হয়। আর পাঁচ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১০ জুলাই প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামান (সিএভি) করেন। ১০ জুলাই এটিএম আজহারুল ইসলামের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আপিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তির জবাব দেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানিতে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে দিল্লি চুক্তির মাধ্যমে ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে পাকিস্তান বিচার করবে এই শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এটা সঠিক নয়, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যে দিল্লি চুক্তি হয় যেখানে স্পষ্টভাবে ক্ষমা করা হয়েছে বলা হয়। সেখানে বিচারের কোনো প্রভিশন রাখা হয়নি।

শুনানিতে তিনি বলেন, চিহ্নিত ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিয়ে ৪৩ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের নাম দিয়ে আপিলকারীর যে বিচার করা হচ্ছে সেটা অনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রণোদিত।
তিনি আরো বলেছিলেন, এটিএম আজহার এলাকায় ২০১০ সাল পর্যন্ত জামাতের নেতৃস্থানীয় নেতা হিসেবে প্রকাশ পেয়েছেন। তার পূর্বে মামলার ঘটনা দূরের কথা তার বিরেুদ্ধে কোনো অভিযোগ কখনো উত্থাপন করা হয়নি। এ মামলায় সরকার পরিকল্পিতভাবে সাক্ষীদের সেফহোমে রেখে আপিলকারীর বিরুদ্ধে অবাস্তব সাক্ষ্য দিয়েছে। বিশেষ করে তার এলাকায় তৎকালীন সময়ে জামায়াত ও মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন এবং তারা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। তাদের সবাইকে বাদ দিয়ে আজহার সাহেবকে আসামি করা হয়েছে। এর স্বপক্ষে ১৩ বছরের বালকসহ অবাস্তব সাক্ষী প্রমাণ দেয়া হয়েছে। আপিলকারীর পক্ষে আমরা বলেছি, মামলার বর্ণিত ঘটনা আপিলকারী স্বীকার করেন। বর্বর পাকিস্তান আর্মি এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ওই ঘটনার সময় আপিলকারী উপস্থিত ছিলেন বলে বলা হয়েছে।

Previous articleসিলেটে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ
Next articleআজহারের রায়ের রিভিউ আবেদন করব: অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব