Home জাতীয় কোন ষড়যন্ত্রই পদ্মা সেতু নির্মাণ রুখতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

কোন ষড়যন্ত্রই পদ্মা সেতু নির্মাণ রুখতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

516
0

ঢাকা: দেশী-বিদেশী কোন ষড়যন্ত্রই পদ্মা সেতু নির্মাণ রুখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে সেতুর নির্মাণ কাজ সময়মতোই শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা পয়েন্টে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নদী শাসন ও সংযোগ সড়কের কাজের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে হেলিকপ্টারযোগে জাজিরায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর ফলক উন্মোচন শেষে মোনাজাতে অংশ নেন। সেখানে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। ২০০১ সালে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবার আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করি।  পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বিশ্বব্যাংকের সাথে চুক্তি হয়। হঠাৎ করে তারা একটা দুর্নীতির অভিযোগ এনে চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়। পরে কোথায় দুর্নীতি হয়েছে জানতে চেয়ে তাদের আমি চিঠি লিখি। কিন্তু তারা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি এবং উত্তরও দিতে পারেনি।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক সরে দাঁড়ানোর পর আমরা নিজেদের অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেই। এতে দেশের জনগণ সাহস আমাদের জুগিয়েছে। তাদের সমর্থনের কারণেই আমরা লক্ষ্যে পৌছাতে পেরেছি। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেনÑ বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আজকেও সেটা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন,  দেশী-বিদেশী কোন ষড়যন্ত্রই আর এই সেতুর নির্মাণ রুখতে পারবে না। সময়মতো সেতুর কাজ শেষ হবে। সেতুটি নির্মাণ হলে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে।

তিনি বলেন, আমরা শুধু ক্রিকেটেই সেঞ্চুরি করছি না। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আমরা সেঞ্চুরি করেছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ স্বাবলম্বী হবে। এখনও আর কারও কাছে আমাদের হাত পাততে হয় না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে বড় বিষয় নয়। আমি জাতির পিতার কন্যা। দেশের মানুষের সেবা করতে এসেছি।  সেতু নির্মাণ কাজে সবার সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে যারা সেতু নির্মাণে জমি দান করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ২৭ ভাগ। এভাবে চললে এবং কাজের গতি ধরে রাখতে পারলে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেই এই সেতুতে চলবে যানবাহন ও ট্রেন। ফলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২১টি জেলায় ঢাকা থেকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আসবে যুগান্তকারী পরিবর্তন। এদিকে দুপুরের পর পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সেতুর মূল পাইলিং কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে সেখানে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

Previous articleনারায়ণগঞ্জে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ ৪০
Next articleমানবতাবিরোধী অপরাধের আরো ২৫ মামলা তদন্তাধীন