ঢাকা: শক্তিশালী ইসি পুনর্গঠনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেওয়া প্রস্তাব বিএনপি রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে এবং রাষ্ট্রপতি তা বিবেচনায় নিয়ে আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থা করবেন বলে প্রত্যাশা করে দলটি। সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা জানান। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা মনে করি একটি সুষ্ঠু অবাধ গহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন করার কোনো উপায় নেই। সেই কারণে রাষ্ট্রপতির যে দায়িত্ব রয়েছে, তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক, তিনি কোনো দলভুক্ত মানুষ নন। উনার দায়িত্ব খালেদা জিয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন এবং এ সর্ম্পকে আলাপ-আলোচনা শুরু করার ব্যবস্থা নেবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সারাদেশেই কথা আছে শুধু নয়, তীব্র সমালোচনাও আছে। যে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে কিভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু করা যায় এবং কমিশনকে একটি শক্তিশালী সংগঠনের পরিণত করা যায় সে জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিএনপির পক্ষে একটি নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবার জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছেন। এই প্রস্তাবনা হচ্ছে জাতির উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, যেহেতু সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির। তাই খালেদা জিয়ার এই প্রস্তাবটি বিএনপি অবশ্যই তার কাছে পাঠাবে। উনার কাছে প্রস্তাবটি পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। যদিও আমরা এখনো সময় পায়নি। তবে আমরা আশা করছি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করবার জন্য তিনি সুযোগ করে দেবেন। সেই অপেক্ষায় আছে বিএনপি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, খালেদা জিয়া একজন দায়িত্বশীল জাতীয় নেতার মতই নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্রস্তাব আলোচনা সাপেক্ষে পরিবর্তন যোগ্য।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীর সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যাশা করি বিএনপির অবস্থান ও সিদ্ধান্ত রাতেই জানতে পারবেন।