ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রকৃত অবস্থা জানতে গবেষণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সংগঠন অনুরূপ বিষয় নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে। কিন্তু যদি তারা কাজটি যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে করে তাহলে প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠবে, যা সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে সহায়ক হবে।’
আজ বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (বিটিসি) আয়োজিত ‘প্রবলেমস এ্যান্ড প্রসপেক্টস অব আইটি এ্যান্ড আইটি এনাবলড সার্ভিসেস আউটসোর্সিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিটিসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন।
গবেষণা কার্যক্রম ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিসি’র সহকারী প্রধান মামুন আকসারি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার আইটি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়ও বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে আইটি খাত থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা লাভের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন এবং আমরা তা ১৯৭১ সালে অর্জন করেছি। পাশপাশি, তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে শুধু ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ সম্পর্কে বলেন নাই বরং তা বাস্তবে পরিণত করেছেন। এখন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
দেশীয় পণ্য ও শিল্প সংরক্ষণে বিটিসি’র ভূমিকার প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (বিটিসি) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।