Home জাতীয় ঘূর্ণিঝড় ফণী: সারা দেশে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় ফণী: সারা দেশে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ

575
0

অনলাইন ডেস্ক: ধেয়ে আসা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে আবহাওয়ার প্রতিকূলতার শঙ্কায় সারা দেশে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ রাখতে বলেছে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ)।

সেই সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিআইডাব্লিউটিএ-এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সকল রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

ঘূর্ণিঝড় ফণী সাগর থেকে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে বেশ ধীর গতিতে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উপকূলের ৯১৫ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছেছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং সংলগ্ন দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে।

অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন জানান, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের মাত্রা একই। ঝড় বন্দরের কোন দিক দিয়ে যাবে তার ভিত্তিতে নম্বর আলাদা করা হয়। বিপদ সংকেতের মানে হচ্ছে, বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে দেশের সবগুলো বন্দরেই ৪ নম্বর সংকেত জারি করা হয়েছিল।

অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে শুক্রবার ভারতের পুরীর কাছে গোপালপুর ও চাঁদবালির মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

Previous articleবিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে: প্রধানমন্ত্রী
Next articleভুল থেকে জন্ম ১২০ কোটি ডলারের ব্যবসা