সিলেট: আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকালে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে একজন নিহত এবং প্রক্টরসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে ছাত্ররা গতকাল বিকেল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ করেছে এবং আজ শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষে নিহত সুমন চন্দ্র দাস নগরের সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের পক্ষ হয়ে সংঘর্ষে অংশ নিতে গতকাল তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। সংঘর্ষে আহত সাতজনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের একপর্যায়ে দুপুর ১টায় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম যথারীতি চলবে বলে জানান সিন্ডিকেট সদস্য ড. কবির হোসেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান গ্রুপ এবং সহসভাপতি অঞ্জন রায় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য উত্তম কুমার দাস গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সঞ্জীবন চক্রবর্তীর গ্রুপ দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসের বাইরে থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে গতকাল সংঘবদ্ধ হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে বেপরোয়া আচরণ শুরু করলে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়।