
বিশেষ প্রতিনিধি: সপ্তাহ ব্যাপী দফায় দফায় শীলাবৃষ্টির কারনে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিসহ এ পর্যন্ত বিপুল পরিমান ঘর বাড়ি, গাছপালা বিধবস্ত হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুতের অসংখ্য খুটি উপরে পড়ে যাওয়ার কারনে বিদ্যুত ব্যবস্থার চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে এলাকায় জনদুর্ভোগ চরমে দেখা দিয়েছে। জগন্নাথপুরের বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দিন-রাত সঞ্চালন লাইনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঝে মধ্যে ২/১ঘন্টা বিদ্যুতের সংযোগ চালু থাকার পর অব্যাহত ঝড় তোপানে বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ফলে বিদ্যুতের দেখা মিলছেনা। ব্যবসা বানিজ্যে স্থবিরতার পাশাপাশি জনসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
এদিকে অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা, কুশিয়ারা, নলজুর নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারনে উপজেলায় বন্যা হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা যেসব ধান কেঁটে আনতে সক্ষম হয়েছেন সেগুলো আবার মাড়াই ও শুকানো নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভু-কম্পন ও বন্যার আশংকার সংবাদে লোকজন আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি বন্যার আশংকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে পুরো উপজেলার উচু, নীচু জমির ফসল দ্রুত কেটে আনার জন্য কৃষকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কিন্তু কৃষি শ্রমিকের অভাবে অধিকাংশ কৃষক ও মহাজনরা তাদের ফলানো ফসল কেটে আনতে পারছেননা। চোখের সামনে পাকা জমির ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্যে দেখে অনেক কৃষকরা ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদতে দেখা গেছে। এদিকে সম্প্রতি অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে উপজেলার বৃহত নলুয়া ও মইয়ার হাওরসহ বেশ কটি হাওরে পানি প্রবেশ করায় আধা পাঁকা ধান পানিতে তলিয়ে যায়।
সরেজমিন হাওর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ফেচী এলাকায় মোকামের খাল ও দিঘলবাক কুশিয়ারার ডান তীরের ফসল রক্ষা বাধটি ঠিকে থাকায় ঐ এলাকার বানাইর হাওরের ১হাজার হেক্টর জমির ফসল রক্ষা পেয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, আওয়ামীলীগ নেতা মসহুদ আহমদ স্থানীয় কৃষকদের সাথে নিয়ে দিন-রাত প্রানপন চেষ্টায় বাধের নির্মান কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার কারনে কৃষকরা এ পর্যন্ত হাওরের ৩ভাগ ফসল কাটতে সক্ষম হয়েছে। কৃষকরা জানান, ফসল পানিতে তলিয়ে না গেলেও শীলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও কৃষি শ্রমিকের অভাবে ধান কাঁটা সম্ভব হচ্ছেনা।