Home জাতীয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশ পাড়ি ঠেকাতে হবে- প্রধানমন্ত্রী

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশ পাড়ি ঠেকাতে হবে- প্রধানমন্ত্রী

555
0

image_145407.pm (7)ঢাকা: দালালকে টাকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তরুণদের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে সরকারের কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণায়লকে উদ্যোগী হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নিলে মানুষ আত্মঘাতী পথে এগোবে না। আর এ জন্য যুবসমাজকে যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন তিনি। আমরা চাই, তারা মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে সরে আসবে। সুস্থ জীবন যাপন করবে। নিজেদের জীবনকে উন্নত করবে এবং পরিবারকে শান্তি দেবে। মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রী তার প্রারম্ভিক বক্তব্যেই এ বিষয়ে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। তারা যেন অবৈধভাবে না যায়। আমরা তো দেশে ব্যবস্থা করছি। তিন/চার লাখ টাকা দালালকে দিয়ে বিদেশে না গিয়ে তো দেশেই ওই টাকা দিয়ে কাজ করতে পারে। সম্প্রতি থাইল্যান্ডের জঙ্গল থেকে অবৈধভাবে সে দেশে যাওয়া ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়, যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। এ ছাড়া ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সময়েও অনেককে আটক করা হয়েছে গত কয়েক মাসে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পাচার হয়, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এর বাইরে একটি বড় অংশ কাজের খোঁজে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন।
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ট্রাফিকিং ইন পার্সন প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ বর্তমানে যে ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। পাচার প্রতিরোধে যে পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করছেন, তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণও নেই। অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা বন্ধ করতে যুবকদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টির ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন শেখ হসিনা। দেশের ৪৯০টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে প্রকল্প নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করা হবে। চারদিকে দেয়াল করে বন্ধ করা হবে না। একদিকে ড্রেসিং রুম আর অফিস থাকবে। বাকি তিনদিক খোলা থাকবে। এসব মিনি স্টেডিয়ামের তালিকা চূড়ান্ত করে দিয়েছেন বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সাফল্যের বিবরণও তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরেন। গত ২৭ অক্টোবর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জয় এবং সেদিনই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ ফুটবল দলের জয়ে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিরেণ শিকদার। মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সচিব নূর মোহাম্মদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Previous articleযুদ্ধাপরাধ বিচারে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতের আহ্বান আমেরিকার
Next articleমীর কাসেমের রায় রোববার