ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে বন্ধুর লাশ ফেলে বুধবার দুপুরে পালিয়েছে এক প্রেমিক যুগল। যাদের জন্য এতো কিছু সেই বন্ধু কিনা আরেক বন্ধুর লাশ এ ভাবে বেওয়ারিশ রেখে পালিয়ে গেল? ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার দুধসর নামক স্থানে দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় শিমুল (২৪), কনা খাতুন (১৮) ও তার প্রেমিক খোকনুজ্জামান (২৪) আহত হন। পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তির পর কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের মাস্টার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শিমুল মৃত্যু বরণ করেন। নিহত শিমুল কুষ্টিয়ার ইবি থানার পুর্ব আবদালপুর গ্রামের আক্কাচ ফারাজীর একমাত্র ছেলে। আহত কনা খাতুন একই এলাকার শিবপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন আনার মেয়ে ও তার প্রেমিক খোকনুজ্জামান একই গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে।
এদিকে হাসপাতালে শিমুলের মৃত্যুর খবর শুনে কনা ও তার প্রেমিক খোকনুজ্জামান হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। অথচ মৃত্যুর খবরটি শিমুলের পরিবারকে জানায় নি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ভর্তি রেজিষ্টারে হতাহতদের নাম ঠিক থাকলেও ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করা হয়। দুপুর দুইটার দিকে শিমুলের চাচা উজ্জল ফারাজীসহ স্বজনরা হাসপাতালে লাশ সনাক্ত করে। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সগির মিঞা জানান, কনান সাথে খোকনুজ্জামানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বুধবার সকালে কনাকে শিমুল ও খোকনুজ্জামান এক মটরসাইকেলে ঝিনাইদহে আসছিলো। তিনি আরো জানান, সকাল ৯টার দিকে ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া সড়কের দুধসর নামক স্থানে রাস্তার উপর দাড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছলে ধাক্কা লেগে ছিটকে পরে সংঘর্ষে শিমুল, কনা ও খোকন আহত হন। পথচারীরা উদ্ধার করে তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে শিমুলের মৃত্যু হয়। চাচা উজ্জল ফারাজী জানান, মাস্টার্সের ছাত্র শিমুল তার ধনাঢ্য পিতার এক ছেলে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিমুল পিতার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। ছেলের শোকে তার পিতামা ও একমাত্র বোন হতবিহবল। এদিকে মামলা না করায় বুধবার বিকাল চারটার দিকে জেলা ম্যাজিষ্ট্রের অনুমতি নিয়ে শিমুলের লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে নিজ গ্রাম কুষ্টিয়ার পুর্ব আবদালপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।