ঢাকা: সাভারের নিশ্চিন্তপুরের ভয়াবহ তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকান্ডের দু’বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১২ সালের এ দিনে কারখানাটিতে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ১১২ শ্রমিকের। গুরুতর আহত হয় দু’শতাধিক। এ দু’বছরে স্বজনহারাদের পরিবার কেবল দীর্ঘশ্বাস ফেলেছে। স্বজনকে নিজ হাতে কবর দেয়ার ভাগ্যটুকুও জোটেনি অনেকের। কারণ পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া স্বজনকে তখন আর চেনার উপায় ছিল না। এ সময়ে নিহতদের পরিবার কিছু ক্ষতিপূরণ পেলেও আহত হয়ে বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের কষ্টটা যেন আরও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। দু’মুঠো আহার যোগানোই এখন তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাটুকুও করাতে পারছেন না অনেক আহত শ্রমিক। শুরুতে বিজিএমইএ’র উদ্যোগে চিকিৎসা হলেও এখন আর কেউ খোঁজ নেয় না বলে তাদের অভিযোগ। শ্রমিক অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, তাজরীনের আহত শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ফলোআপ চিকিৎসা হচ্ছে না। এ বিষয়ে কেউ দায়িত্বও নিচ্ছে না। অথচ সেই তুলনায় রানা প্লাজার শ্রমিকরা ভাল ক্ষতিপূরণ পেতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে একটা সাধারণ মানদ- থাকা দরকার। তাজরীনের আহত শ্রমিকরাও যাতে অন্তত রানা প্লাজার শ্রমিকদের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ পেতে পারে সে বিষয়ে আমরা আওয়াজ তুলবো। একই সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত হওয়া দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকৃত দায়ীদের দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন হওয়ার দরকার।