আবুল হোসাইন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: পাথারিয়া সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী রাশেদা আক্তার মনির মৃত্যুর ঘটনায় লম্পট চালকের দৃষ্টান্তমুলক শান্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে অভিভাবক,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ১০টায় দিরাই-মদনপুর সড়ক অবরোধ করে ৩ ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। এ সময় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর বেলা ১টায় পাথারিয়া সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ঘাতক চালককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শান্তি ও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার দাবীতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা মিয়া, ফয়জুর রহমান, নেজাবুল ইসলাম, মোশাহিদ মিয়া ও শিক্ষক জিতু মিয়া প্রমুখ। মোস্তাফা মিয়া তার বক্তব্যে বলেন, ঘাতক চালক রেজু অসৎ উদ্যেশ্যে তাদেরকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার করনেই এ ঘটনা ঘটেছে, আমরা এ সভা থেকে ওই ঘাতক চালককে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি। প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে আসা-যাওয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা এর ফাঁসি চাই।
ফয়জুর রহমান বলেন, ছাত্রদের যান চলাচল সুবিধার্থে বার বার বাস মালীক সমিতি, লেগুনা সমিতির সাথে আমরা আলোচনা করেছি কিন্তু কোন ফলাফল নেই। ছাত্রদের সাথে প্রায়ই পরিবহন শ্রমিকরা দুর্বব্যবহার করে। নেজাবুল ইসলাম বলেন, এর আগেও স্কুলছাত্রী দীপালীকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ী থেকে ফেলে দিয়েছিল এক হেলপার। অনবিজ্ঞ ড্রাইভার ও অবৈধ গাড়ী চলাচলে কোন নিয়ন্ত্রন নেই যার ফলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ন্ত্রনে আনার দাবী জানিয়ে মোশাহিদ মিয়া বলেন, ঘাতক চালক রেজু কোন ড্রাইভার নয়, লেগুনা গাড়ির কোন নাস্মারও নেই, তাকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়া হোক যাতে এরকম ঘটনা আর না নয়। এ সময় দিরাই থানার এস আই মহাদেব সাহা ও দক্ষিন সুনামগঞ্জ থানার এসআই আকিক অবিলম্ভে ঘাতক চালককে গ্রেফতার ও যে ভাবে তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ব্যবস্থা হয় এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদে স্কুলে আসা যাওয়ার এ আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য দিরাই-মদনপুর সড়কের শরীফপুরে লম্পট চালকের হাত থেকে বাঁচতে চলন্ত গাড়ী থেকে ঝাপ দিয়ে মারা যায় স্কুল ছাত্রী রাশেদা আক্তার মনি।