ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও কূটনীতিক কোরের ডিন রবার্ট গিবসন বলেছেন, বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে এতে তারা কৃতজ্ঞ। মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর ব্রিফিংয়ের পর ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
গিবসন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। এক প্রশ্নের উত্তরে রবার্ট গিবসন বলেন, ‘বিদেশিদের জন্য সরকার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করায় তারা আগের চেয়ে বেশি নিরাপদ বোধ করছেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এর আগে বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সম্প্রতি দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি ও দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা এইচটি ইমাম এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।। এটা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সম্ভাব্য হুমকির ব্যাপারে বিদেশিরা যে তথ্য পেয়েছিল সেটি তারা সরকারকে জানিয়েছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীরা যখন অপকর্ম ও অপরাধ ঘটায়, তখন তো তারা এক জায়গায় থাকে না। জায়গা বদল করে।’
তিনি বলেন, ‘সবকিছুতে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং নিরাপত্তা ব্যাবস্থা আরও জোরদার করতে বলেছেন।’
বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের ভ্রমণবিষয়ক যে সতর্কবার্তা দিচ্ছে এটি প্রত্যাহারের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মাহমুদ আলী বলেন, ‘তারা তো এটি জারি করেছেন বেশ কয়েক দিন হলো, আগামী কয়েক দিন পর আশা করি সেটি প্রত্যাহার হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের নিশ্চিত থাকতে বলেছি, তাদের আশ্বস্ত থাকতে বলেছি। কেনো দ্বিধা বা সন্দেহ থাকা উচিৎ নয়। শুধু কূটনৈতিক এলাকা নয়, প্রত্যন্ত এলাকাতেও বিদেশিরা আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে থাকেন। আমরা তাদের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।’
রবার্ট গিবসন বলেন, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘাতকদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে কোনো বাধা থাকবে না বলেও সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে অংশ নিতে বেলা পৌনে ৩টার পর থেকেই পদ্মায় আসতে শুরু করেন ঢাকায় কার্যরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি পরপর দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিরাপত্তা উদ্বিগ্নতায় ছিলেন কূটনীতিকসহ বিদেশি নাগরিকরা।