Home বিশেষ সংবাদ নির্বাচন চাই কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের মাধ্যমে: রওশন

নির্বাচন চাই কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের মাধ্যমে: রওশন

493
0

ঢাকা: আমরা যদি একে অপরকে বিশ্বাস না করি তাহলে জনগণ আমাদের বিশ্বাস করে কীভাবে ভোট দেবে? জাতীয় সংসদে এ প্রশ্ন রেখেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। বৃস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
বিরোধী দলীয় নেতা রওশন বলেন, প্রত্যেক দেশে নির্বাচন হয় পলিটিক্যাল গভর্নমেন্টের মাধ্যমে। আমাদের দেশে নির্বাচন চাই কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের মাধ্যমে, কারণ আমরা একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করি না। আমরা যদি একজন আরেকজনকে বিশ্বাস না করি জনগণ আমাদের বিশ্বাস করে ভোট দেবে কি করে?
তিনি আরো বলেন, আগে দেখা গেছে যে দল যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বিরোধীদল একটা না একটা কিছু সমস্যা সৃষ্টি করে এবং সরকারি দল তার পেছনে থাকে। এতে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। আর সরকারি দল বিরোধীদলকে দমাতে ব্যস্ত থাকে। এজন্য উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত হয়।
বিরোধীদলীয় নেতা আরো বলেন, জনগণের জন্য যতই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোক না কেনো, কোনো সময় আমরা একমত পোষণ করি না। এটা আমাদের একটি পলিটিক্যালি বিশেষত্ব। এটা আমাদের ছাড়তে হবে। একে অপরের সঙ্গে বসে মিলেমিশে কথা বলতে হবে। জনগণের জন্য দেশের জন্য যেটা ভালো সেটাই করতে হবে।
জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত বিরোধীদল বলার জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, এখন অনেক আজে বাজে কথা বলা হচ্ছে। আমরা নাকি অনেক গৃহপালিত বিরোধীদল। তোমরা কি করেছো? তোমরাতো সংসদে যাওনি, জনগণের কথা বলনি। আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি, সরকারের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করছি সেজন্য তারা ভালোভাবে দেখছে না। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণ দেশ নিয়ে ভাবছেন। আমরা মিলে মিশে থাকলে দেশতো এগিয়ে যাবেই।
রওশন এরশাদ বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর খাদ্য উৎপাদিত হচ্ছে। মানুষ না খেয়ে নেই। কিন্তু শরীরের জন্য নিরাপদ, স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাদ্য এখানে নেই। এটাই আমাদের বড় সমস্যা।’ তিনি আরও বলেন, ৮টি বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের ৮টি বেঞ্চ করে দেন। তাহলে মামলার জন্য মানুষকে সময় অপচয় ও টাকা খরচ করে ঢাকায় আসতে হবে না। আশাকরি প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। আমি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি, প্রধান বিচারপতি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী বললে তিনি এটা করে দিতে পারবেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো আপনি এটা করে দিন।
রওশন এরশাদ বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা হচ্ছে দেশের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। আমাদেরকে শিক্ষায় আরো বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা জ্ঞানমুখী না হয়ে সনদমুখী হয়ে পড়েছে। আমাদেরকে এগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। শিক্ষা সংকট অনেক বড় সংকট। এজন্য সরকারকে আরো উদ্যোগ নিতে হবে।
সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড গঠনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাড়লেও সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা বাড়েনি। আপনি অনেক বেশি জনদরদি, আপনার কাছে অনুরোধ করবো সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড গঠনে উদ্যেগী হোন।

Previous articleজগন্নাথপুরে বেড়িবাধের কাজ শেষ হয়নি, শঙ্কিত কৃষকরা
Next articleসিলেটের মিডিয়াতে আবারও আলোচনায় সাংবাদিক জমসর আলী