
নিউজ ডেস্ক: বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্ববাসী আজ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ম্যান্ডেলাকে স্মরণ করছে। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ছিলেন ম্যান্ডেলা। ১৯৯৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। ২০০৪ সালে রাজনীতি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরে যান তিনি। পূর্ব কেপটাউনের কুনু গ্রামে ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই জন্মেছিলেন ম্যান্ডেলা।
২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ৯৫ বছর বয়সে জোহানেসবার্গের নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন ম্যান্ডেলা। ম্যান্ডেলার দীর্ঘ জীবনকালের প্রায় পুরোটাই কেটেছে মানবতার মুক্তির সংগ্রামে। কালো মানুষের নেতা থেকে তিনি হন বিশ্বনেতা। দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যান্ডেলা তার গোত্রের দেয়া মাদিবা নামে পরিচিত।
ম্যান্ডেলার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে মাদিবার দর্শন-শান্তি, ঐক্য, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও উন্নত জীবনের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার এই মহান নেতাকে স্মরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা।
কালো মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে ২৭ বছর কারাবাস করেছেন মাদিবা। ম্যান্ডলোর কারাবাস শুরু হয় রবেন দ্বীপের কারাগারে। এখানে তিনি তার ২৭ বছররে কারাবাসরে প্রথম ১৮ বছর কাটান । জেলে থকার সময় বিশ্বজুড়ে তার খ্যাতি বাড়তে থাকে। দক্ষিণ আফ্রকিার সবচয়ে গুরুত্বর্পূণ কৃষ্ণাঙ্গ নেতা হিসেবে সারা বিশ্বে পরচিতি লাভ করেন । সশ্রম কারাদণ্ডের অংশ হিসেবে রবেন দ্বীপের কারাগারে ম্যান্ডলো ও তার সহবন্দীরা একটি চুনাপাথরের খনিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হন। কারাগারের অবস্থা ছিলো শোচনীয়। কারাগারে র্বণভদে প্রথা চালু ছিলো। কৃষ্ণাঙ্গ বন্দীদের সবচয়ে কম খাবার দেয়া হতো। সাধারণ অপরাধীদের থেকে রাজনতৈকি বন্দীদের আলাদা রাখা হতো। রাজনতৈকি বন্দীরা সাধারণ অপরাধীদের চাইতওে কম সুযোগ সুবিধা পেতো।
ম্যান্ডলো তার জীবনীতে লিখেছেন, তাকে ডি-গ্রুপরে বন্দী হসিাবে গণ্য করা হতো, র্অথাৎ সবচেয়ে কম সুবধিাপ্রাপ্ত বন্দীদের তালকিায় তাকে রাখা হয়েছিলো। তাকে প্রতি ৬ মাসে একটিমাত্র চিঠি দেয়া হতো এবং একজনমাত্র দর্শনার্থীর সাথে দেখা করার অনুমতি দেয়া হতো। ম্যান্ডলোকে লেখা চিঠি কারাগারের সেন্সরকর্মীরা অনকেদনি ধরে আটকে রাখতো। চিঠি ম্যান্ডলোর হাতে দেয়ার আগে অনেক জায়গায় কালি দিয়ে অপাঠযোগ্য করে দেয়া হতো।