পাবনা: পাবনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের আসলাম গ্রুপ ও পান্না সরকার গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষের সময় কমপক্ষে ৫টি বাড়ি ও ৪টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের শানিকদিয়ার চর গ্রামে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১০ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, সদর উপজেলার শানিকদিয়ার চর গ্রামের শুটকা প্রামাণিকের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪০), আকাত মালিথার ছেলে মিজান (৩০), বাবু প্রামাণিকের ছেলে বাবলু (২৩), মুর্শিদ খাঁর ছেলে রিপন (১৪), হাবু মন্ডলের ছেলে সামাদ (২৮), উজ্জ্বলের স্ত্রী সবুরা খাতুন (৩০), জামাল উদ্দিনের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৫৫), আজাদ প্রামাণিকের ছেলে ডাবলু (৩৫), হাসেন প্রামাণিকের ছেলে শাহিন (৩০) ও আখের হাজীর ছেলে মতিন (৪৫)। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিল্লাল হোসেনকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আহত মিজান হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে শানিকদিয়ার হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সম্পাদক আসলাম হোসেনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা পান্না সরকারের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার রাত ১১টার দিকে পান্নার লোকেরা শানিকদিয়ার বাজারের চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলেন। এমন সময় আসলামের সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায় এবং গুলি করতে থাকে। বন্দুকের গুলিতে আহত হয়ে এবং ভয়ে দিকবিদিক পালাতে থাকে পান্না সরকারের লোকেরা। এসময় আসলামের লোকজন বকুল, মুকুল, মজিবর, সাহেবের বাড়ি ও দোকানঘর ভাঙচুর করে।
পাবনা সদর থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল হোসেন জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ । তবে কোন পক্ষই থানাতে কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান এসআই সোহেল।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, এটা কোন দলীয় কোন্দল নয়। সম্পূর্ণ এলাকাভিত্তিক গোষ্ঠীগত ঝামেলা এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এরা দুই গ্রুপই আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাকর্মী। হাটের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল।