ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ কমানোর লক্ষে নতুন একটি সুপারিশমূলক দিকনির্দেশনা দিয়েছে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি বেআইনি নির্দেশ দেয় তাহলে অধস্তন কর্মকর্তা সেই নির্দেশ পালন করলে তার জন্য তিনি দায়ী হবেন। দায়ী হবেন নির্দেশদাতাও। যেসব ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগের বেলায় প্রাণহানি ঘটে তা তদন্তের জন্য অন্য কোনো নিরপেক্ষ, পপাতহীন কর্তৃপ দিয়ে তদন্ত করাতে সুপারিশ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, কোনো মারাত্মক অপরাধের মামলা যদি বিলম্বিত হয় তাহলে তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে ওই নজরদারিবিষয়ক সংস্থা। আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বলপ্রয়োগ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার নিয়ে জাতিসঙ্ঘের মৌলিক নীতিমালা প্রণয়নের ২৫ বছর পূর্তিতে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ সুপারিশমূলক ২০৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি। এ নিয়ে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত নতুন এ দিকনির্দেশনায় বিশ্বের ৫৮টি দেশের জাতীয় আইন, অভ্যন্তরীণ বিধিবিধান ও প্রশিক্ষণ নথিপত্র থেকে উদাহরণ উপস্থাপন করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি নতুন এ দিকনির্দেশনা ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে বিশেষ পুলিশ ফোর্স কঠোরভাবে তাদের অভিযান পরিচালনা করে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করে প্রাণঘাতী অস্ত্র। এর ফলে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। বাহরাইন, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, গ্রিস, স্পেন, তুরস্ক, ভেনিজুয়েলা ও ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশে ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট, অন্যান্য উপায়ে ব্যবহার করা হয় শক্তি। এর ফলে বিপুল মানুষ হতাহত হন। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই গাইডলাইনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে যে সুপারিশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে- ‘জীবন রক্ষা’র নীতিকে অবশ্যই আইনে পরিণত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জীবন ঝুঁকি থেকে রা পেতে শুধু আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।