ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত জোটের ষড়যন্ত্র পাকিস্তানী ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ইতোমধ্যে পাকিস্তানী দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে পাকিস্তানী দূতাবাসও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে হরতাল-অবরোধ মোকাবেলায় সরকার ব্যর্থ কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। হরতাল-অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসী নৈরাজ্য বন্ধে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক শাজাহান খান বলেন, পাকিস্তানী চক্র তাদের গ্লানি দূর করতে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। সরকার এদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম মোকাবেলা করছে। সরকার একা নয় জনগণকেও এদের মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে। আমরা প্রাথমিকভাবে জনগণকে সংগঠিত করার কাজ করে যাচ্ছি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বাসায় বিদ্যুতের পুনঃসংযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা উদার মনের মানুষ তাই তিনি (খালেদা) তার কার্যালয়ে সকল ধরনের সংযোগ ফিরে পেয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি জোটের টানা হরতাল-অবরোধে এ পর্যন্ত ২১ জন পরিবহন শ্রমিকসহ শতাধিক মানুষ হত্যা করা হয়েছে। ২০ দলীয় জোটের অধিকাংশই বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করে না। তাই মক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে খালেদার নেতৃত্বে তারা দেশ ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। দূষ্কৃতিকারীদের স্বমূলে নির্মূল করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্র রক্ষায় শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন মন্ত্রী।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যপী শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-ব্যবসায়ী-মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ বেলা পৌনে একটা থেকে একটা পর্যন্ত নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে। এ ছাড়া বেলা একটায় সড়ক, নৌ ও রেলসহ সকল যানবাহনে এক মিনিট হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানাবে বলেও জানান শাজাহান খান। তিনি জানান, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল তিনটায় বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনের অডিটরিয়ামে জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। এ কনভেনশন থেকে বৃহত্তর গণআন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।