নিউজ ডেস্ক: চাঁদপুর শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের এক সক্রিয় কর্মী কোহিনুর বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কোহিনুর বেগমের স্বামী আব্দুল মান্নান খান দীর্ঘবছর ধরে সৌদি আরব থাকেন। কয়েকদিন আগে দেশে এসেছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির নয়ন নামের এক নারী কোহিনুরকে শনিবার সন্ধ্যার পর রহমতপুর আবাসিক এলাকার তার ৯০ নং বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর আরো কয়েকজনের সহযোগিতায় কোহিনুরকে হত্যা করে পালিয়ে যায় তারা। ঘটনার পর সেখানে শত শত মানুষ জড়ো হন। তবে আতঙ্কে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।
এ ঘটনা জানাজানি হলে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আশ্রাফুজ্জামান ঘটনাস্থলে যান। এছাড়া চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় নয়ন বেগমের বড় মেয়ে তিশাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনের মতো কোহিনুর বেগম তার তিন সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে বাসায় সময় কাটাচ্ছিল। হঠাৎ নয়ন বেগম এসে কোহিনুর বেগমকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে নয়ন বেগমের প্রতিবেশীরা হত্যার ঘটনাটি টের পেয়ে জনপ্রতিনিধি কাউন্সিলর ডিএম শাহ্জাহানকে জানান। পরে শাহ্জাহান চাঁদপুর মডেল থানাকে জানালে মডেল থানা পুলিশ নয়ন বেগমের বাসার খাটের নিচ থেকে কোহিনুর বেগমের লাশ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী আরো জানান, ঘাতক নয়ন বেগমের একাধিক বিয়ে হয়েছে। প্রথম স্বামী ছেড়ে দেয়ার পর অন্য একজনের সাথে বিয়ে হয়। সে স্বামীও বর্তমানে নেই। তার দু’টি মেয়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সমিতি গঠন করে মহিলাদের মাঝে সুদের ব্যবসা করে আসছে নয়ন।
ঘটনার পর বর্তমানে দুই সন্তান ছাড়া নয়ন বেগম, তার ভাই আঃ রাজ্জাকসহ পরিবারের সবাই পলাতক। চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী আয়েশা রহমান লিলি জানান, কোহিনুর বেগম জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশ্রাফুজ্জামান জানান, নয়ন বেগমের বাসায় লাশ পাওয়া গেছে। তিনি পলাতক। তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।