আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অন্যান্য দেশের সরকার প্রধানদের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। কাজে-কথাবার্তায় যেমন, ভিন্নধর্মী কিছু করে চমক লাগানোর বেলায়ও তার জুড়ি নেই। নিজের দেশ তো বটেই, অন্য যে কোনো দেশের প্রেসিডেন্টের তুলনায় নিজেকে আলাদা করে তুলেছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট পুতিন এবার ডুবোজাহাজে চড়ে সাগরতলে নামলেন, খুঁজে বের করলেন বিধ্বস্ত একটি জাহাজ।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের উপকূলে প্রাচীন সংস্কৃতিসমৃদ্ধ একটি জাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ডুবে ছিল। গত মঙ্গলবার ছোট একটি ডুবোজাহাজে করে সেই জাহাজটি উদ্ধারে সাগরতলে নামেন পুতিন। ডুবোজাহাজে চালকের পাশে বসে ৮৩ মিটার গভীরে নামেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘৮৩ মিটার বেশ ভালোই গভীর। এটা বেশ চমকপ্রদ ছিল।’ ক্রিমিয়ার কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে বাইজেন্টাইন আমলের জাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। দশ শতকের বিপুলসংখ্যক মৃৎশিল্প ছিল জাহাজটিতে। চলতি বছরের শুরুতে রুশ ডুবুরিরা ক্রিমিয়ার সেভাস্টোপোলে জাহাজটির সন্ধান পান। প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, এটি মোটেও কৃষ্ণ সাগরের উত্তরাঞ্চলে ডুবে যাওয়া অন্যান্য জাহাজের মতো নয়। তিনি জানান, জাহাজটি বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করবেন।
২০০৯ সালে পৃথিবীর গভীরতম বৈকাল হ্রদে ডুবোজাহাজ নিয়ে ১৪০০ মিটার গভীর পর্যন্ত গিয়েছিলেন পুতিন। নানা সময়ে নজরকাড়া কাজকর্ম করে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন পুতিন। কয়েক দফায় পনেরো বছর ধরে রাশিয়াকে শাসন করা এ প্রেসিডেন্টের লৌহমানবসুলভ একটি ভাবভঙ্গি ও ব্যক্তিত্ব রয়েছে। সাবেক এই দুর্ধর্ষ কেজিবি গুপ্তচরের কাজগুলোও বেশ পুরুষালি। খালি গায়ে পেশিবহুল শরীর নিয়ে ঘোড়ায় সওয়ার হওয়া, ক্রেনে চড়ে ওড়া কিংবা বাঘের পাশে বসে ছবি তোলা_ অন্য কোনো প্রেসিডেন্টকে এ ধরনের ঝুঁকি নিতে দেখা যায় না।