ঢাকা: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিবের পদ থেকে ইস্তেফা দিয়েছেন মাওলানা জাফরুল্লাহ খান। এর পরই তার পদত্যাগ নিয়ে দলটির ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাওলানা ফিরোজ আশরাফি মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। এতে দলটির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে খবর নিয়ে জানা গেছে, মাওলানা ফিরোজ আশরাফি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে জাফরুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন। যার কোনো ধরণের সত্যতা নেই বলে দাবি করেছেন দলটির একাধিক নেতা।
খেলাফত আন্দোলনের একাধিক সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, ফিরোজ আশরাফি মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের সাবেক ছাত্র। তিনি জাফরুল্লাহ খানের কন্যা আলেমা ও হাফেজা সাহেদাকে বিয়ের জন্য তার পরিবারকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সাহেদার চাইতে মাওলানা ফিরোজ আশরাফির একাডেমিক ও অন্যান্য যোগ্যতা কম হওয়ায় তার পরিবার এ প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। আর এতেই মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের উপর ক্ষিপ্ত হন মাওলানা আশরাফি। এ ক্ষোভ থেকেই জাফরুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে তিনি অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম বলেন, পদত্যাগের জন্য জাফরুল্লাহ খানকে কেউ চাপ প্রয়োগ করেনি। তার বিরুদ্ধে আমরা কখনো কোনো অভিযোগ তুলিনি। পদত্যাগের পূর্বে কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেননি। ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকেই ফিরোজ আশরাফি মাওলানা জাফরুল্লাহ খানকে নিয়ে গণমাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিচ্ছেন। এ বিষয়ে ফিরোজ আশরাফির বিরুদ্ধে আমরা যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছি। তিনি গণমাধ্যমকে ভুল তথ্য দিয়ে দলে সংকট সৃষ্টি করছেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ফিরোজ আশরাফির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান মুফতি ফখরুল ইসলাম।