ঢাকা: দেশের চলমান সংকটকে ‘সর্বগ্রাসী’ এবং বর্তমান গণতন্ত্রকে ‘মৃত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত ‘বিপন্ন গণতন্ত্র, বিপর্যস্ত কৃষি: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ সব কথা বলেন।
এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এখন আফ্রিকার উগান্ডার মত ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এভাবে কোনো দেশ আগাতে পারে না। এই চলমান সমস্যা সমাধানের জন্য একটি মাত্র পথ- আর সেটি হলো মধ্যবর্তী নির্বাচন।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারের যদি আত্মসম্মানবোধ থাকতো তাহলে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন ব্যবস্থা করতো। এর মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান হতো।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে সংসদ না ভেঙ্গে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। কিন্তু বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশে সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন বাংলার জনগণ মেনে নেয়নি। সেই নির্বাচনে আমি যদি নির্বাচন কমিশনারের দাবি মেনে নেই যে ৪০% ভোট পড়েছিল তাহলে ৬০% লোকের ভোটের কি কোনো মূল্য নেই? সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদের মতো লোকদের নামে মামলা দিয়ে সরকার যে ২০১৯ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার যে ইচ্ছা পোষণ করছে তা কখনো পূরণ হবে না। কারণ বাংলাদেশ নাতিশীতোঞ্চ অঞ্চলে অবস্থিত। এদেশের মানুষ ফুলের মালা দিতে জানে, আবার জানাজার নামাজ ছাড়া মানুষকে মাটিও দিতে জানে।
গাজী আরো বলেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নাকে রিমান্ডের নামে আজকে যা করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অন্যায়। তিনি যদি কথা বলে অন্যায় করে থাকেন তাহলে তার কথা গোপনে রেকর্ড করা তার চেয়ে বড় অন্যায়।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আনোয়ারুন নবী বাবলার সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, কৃষিবিদ শেখ শফি শাওন, এ্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাফিজ ক্যানেডি প্রমুখ।