কায়রো: মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের ১৮৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি অপরাধ আদালত। দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এমনই এক ঘটনায় ২০১৩ সালের আগস্টে রাজধানী কায়রোর নিকটবর্তী গিজার কারদাশা থানায় হামলা হয়। সে হামলায় পুলিশের ১১ জন সদস্যসহ ১৩ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আদালত মঙ্গলবার ১৮৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে ১০ পুলিশ সদস্যকে হত্যা, থানায় নাশকতা, পুলিশ সদস্যদের নির্যাতন, থানা এবং অসংখ্য গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
রায়ের সময় ১৩৫ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা আবিসিনার একটি মামলায় আগেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য দেশটির গ্র্যান্ড মুফতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের আগে এই প্রক্রিয়া দেশটির আইনে স্বীকৃত। তবে আদালত মুফতির সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয়। মুফতির সিদ্ধান্তের পর আদালত ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি এই ইস্যুতে চূড়ান্ত রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছে।
এভাবে গণহারে মৃত্যুদণ্ড মিশরে এটিই প্রথম নয়। গত মার্চে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় মিনার আদালত ৫২৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর আগে গত এপ্রিলে একই ধরনের ঘটনায় আদালত ৬৮৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দেয়। এদের মধ্যে গ্র্যান্ড মুফতি প্রথম ঘটনায় ৩৭ জনকে এবং দ্বিতীয় ঘটনায় ১৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেছে। দেশটিতে গণহারে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কড়া সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
মিশরের নিষিদ্ধ মুসলিম ব্রাদারহুড বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ফের ক্ষমতায় আনার দাবিতে আন্দোলন করছে।
২০১২ সালের ৩ জুন নির্বাচনে ৫১.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী ব্রাদারহুড সমর্থিত মোহাম্মদ মুরসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালের ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী।
সূত্র: বিবিসি, আহরাম