ম্যাচ বাই ম্যাচ এগিয়ে যেতে চাই: মাশরাফি

0
1019

87396_Ctg sports (24)
চট্টগ্রাম: লক্ষ্য ৫-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় করা হলেও সেটি সরাসরি বলতে রাজি নন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তাজা। তার মতে ম্যাচ বাই ম্যাচ জয় করতে চায় বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচপুর্ব এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেন, টেস্টে অনেকেই ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা করলেও ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু কেউই নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। তবে দল ভালো খেলেছে বলেই সিরিজটি ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে। তাই আমি এখনিই ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের চিন্তা করছি না।এখানে প্রথম ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দু’টি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি এখানে ভালো করে যেতে পারি, তাহলে ওখানে (ঢাকা) গিয়ে সিরিজ জিতে নেওয়া সহজ হবে। এখন দরকার কালকের (শুক্রবার) শুরুটা। এই বছর ওয়ানডে যেহেতু আমাদের ভালো যায়নি, তাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই বছরের শেষটা ভাল করা। আমরা কিছু কোজ ম্যাচ হেরেছি। তাই উদ্দেশ্য থাকবে আমরা যেন ওই ম্যাচগুলো জয় লাভ করি। সে জন্য একটি-দু’টি করে এগিয়ে যাওয়াই ভালো। একটা ম্যাচ জিতলে কিন্তু সংক্রিয়ভাবে অনেক কিছু খুলে যাবে। এই করতে হবে,ওই করতে হবে। তবে বলতে পারি ওদের (জিম্বাবুয়ে) সাথে জেতা সম্ভব। প্রথম ম্যাচটি যদি ভালো করে জিততে পারি তাহলে সব কিছু উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, টেস্ট সিরিজের আমরা খুব ভালোভাবে জিতেছি। এটা অবশ্যই আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিবে। দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ভালো খেলেছে এবং যারা ভালো খেলেছে তাদের জন্যে কাজটা অনেক সহজ হবে। কারণ তাদের আত্মবিশ্বাসের লেভেলটা বেশ ভালো থাকবে। এটা পুরো দলের উপর একটা ভালো প্রভাব ফেলবে। আমরা টেস্টে একটা ম্যাচও হারিনি। বাজে খেলিনি। এটা অবশ্যই সাহায্য করবে। আর ২০১৪ সালটা আসলে বলার সুযোগ নেই যে আমরা মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলাম। আমরা খুব খারাপ খেলেছি। তাই বিশ্বকাপের আগে কামব্যাক করার অবশ্যই এটা একটা ভালো সুযোগ। আমরা সবাই এটা নিয়ে বেশি মনোযোগী।
দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতার এটা একটা ভালো সুযোগ উল্লেখ করে টাইগার দলপতি বলেন অধিনায়কত্ব করা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ। যেহেতু টেস্ট সিরিজ ভালো গেছে এটাতেও হয়তো সেটা সাহায্য করবে। তার মানে এই না যে আমরা পাঁচটি ম্যাচই টানা জিতে যাব। যেভাবে আমরা টেস্ট ম্যাচে ভালো খেলেছি এখানেও ভালো খেলতে হবে। এখানে ওয়ানডেতে পরিকল্পনা অনেক পরিবর্তন আসবে। কারণ টেস্টের মত চাপে ফেলতে পারবে না কেউ। পরিকল্পনা পরিবর্তন করে সেটা ঠিকমত বাস্তবায়ন করাটাই জরুরী। সব কিছু যদি সেভাবে করতে পারি তাহলে অবশ্যই ভালো সুযোগ থাকবে।
মাশরাফি বলেন, আমরা এমন একটি দল যারা এখনো উন্নতি করছি। তারপরও এখনো ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারি না। তাই দলকে এখনো বিশ্বমানের বলা যায় না। আমাদের এখনো অনেক কিছু বাকি আছে। আমরা সবাই আলাদা-আলাদা। সাকিব আছে, মুশফিক-তামিম আছে যারা ব্যতিক্রমী পারফর্মার। রিয়াদ এখন ভালো খেলছে। কিন্তু তারপরও মনে হয় যেন সবাই আমরা একই রকম। আর আমাদের সবার একই উদ্দেশ্য থাকে, টিম হিসেবে একসঙ্গে পারফর্ম করবো। ভালো খেলে জিতব। যেটা ওয়ানডে ক্রিকেটে মাঝখানে খুব ভালোভাবে শুরু হয়েছিল । কিন্তু এ বছরে সেটা আবার অধারবাহিক হয়ে যায়। কে দলে নেই সেটার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলগতভাবে ভালো করা।
অল রাউন্ডার সাকিব প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, অন্য সব খেলোয়াড়ের মতই প্রত্যাশা থাকবে সাকিবের ওপরও। সাকিব একা ম্যাচ জিতাতে পারবে না। তবে অনেক কিছু করে দিতে পারবে। কিন্তু তার সহযোগীতায় অনেককে থাকতে হবে। আমি অবশ্যই মনে করি পুরো দলটাকে ভালো খেলতে হবে। প্রত্যেকটি দলে একটি-দু’টি ব্যতিক্রমী খেলোয়াড় থাকে যারা দলের মূল খেলোয়াড়। সেটা বলতে আমার কোন সমস্যা নেই যে, আমরা জানি, সবাই জানে বাংলাদেশের সাপোর্টার জানে যে সাকিব বাংলাদেশের টপ খেলোয়াড়। তার কাছ থেকে প্রত্যশা আমি কেন বাংলাদেশের সবাই করে। আমার মনে হয় সাকিবও সেটা ভালো করে জানে। সাকিবও সেটা পূরণ করবে। মূল বিষয় হচ্ছে সবাই যেন মাঠে গিয়ে প্রমাণ করে যে আমি দলে সেরা পারফর্মার হতে চাই। তাহলে কাজটা অনেক সহজ হবে এবং সাকিবের জন্যেও সহজ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মাশলাফি বলেন,যারা টেস্ট ম্যাচ খেলছে ব্যাটিংয়ে তারাই আসবে। বোলিংয়ে একটা দুটা পরিবর্তন আছে। আমি কিংবা আল-আমিন নতুন এসেছি। বোলিংয়ের েেত্র নতুন পরিকল্পনা করতে হতে পারে। কারণ এই সিরিজে আমরা এখনো ওদের বিপে বোলিং করিনি। আর ব্যাটিংয়ে যারা আছে তারা জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে স্বাভাবিক ব্যাটিং করেছে। (টেস্ট অধিনায়ক ) মুশফিকের সঙ্গে অবশ্যই কথা হবে। ব্যাটসম্যানরা ৬টি ইনিংস ব্যাটিং করেছে। আমার মনে হয় ওডিআউ ম্যাচে সেটা অনেক সহায়তা করবে।