কক্সবাজার: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে জামায়াতে ইসলামীর পৌর আমিরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে পৃথক অভিযানে মহেশখালী থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন- মহেশখালী জামায়াতের পৌর আমির মৌলভী ওসমান গণি (৬২), মৌলভী নুরুল ইসলাম (৭৫) ও জিন্নাত আলী ওরফে জিন্নাহ (৭২)।
তাদের মধ্যে প্রথমজন ছাড়াও অন্য দুইজন কক্সবাজার জেলায় তেমনভাবে পরিচিত নন। সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সম্পৃক্ত নন।
পৌর জামায়াত আমির মৌলভী ওসমান গণি মহেশখালী পৌরসভার সিকদার পাড়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় লাল মিয়ার ছেলে, মৌলভী নুরুল ইসলাম উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবিলার বাসিন্দা ও স্থানীয় আলী মিয়া দালালের ছেলে। আর জিন্নাত আলী ওরফে জিন্নাহ মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলার মদুয়ারডেইল এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় মীর আহমদ ওরফে মিরার ছেলে।
মৌলভী নুরুল ইসলাম সমাজ কমিটির সর্দার ও স্থানীয় সালিশকার বলে পরিচিত। অন্যজন জিন্নাত আলী ওরফে জিন্নাহ স্থানীয় আনসার বাহিনীর সাবেক কমান্ডার ছিলেন।
মহেশখালী পুলিশ জানিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশ পেয়েই ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, তাদের আদালতে উপস্থাপন করা হবে। আদালতের মাধ্যমেই ঢাকায় ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।
মহেশখালী থানা সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে জিন্নাত আলী ওরফে জিন্নাহকে, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নারায়ন দের নেতৃত্বে মৌলভী নুরুল ইসলামকে এবং উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন দত্তের নেতৃত্বে পৌর জামায়াত আমির মৌলভী ওসমান গণিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের তিনটি বিশেষ দল মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত মৌলভী নুরুল ও জিন্নাহকে মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা বাজার থেকে এবং মৌলভী ওসমান গণিকে গোরকঘাটার হোটেল আল-আমিন থেকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে মহেশখালী থেকে সাবেক সংসদ সদস্য রশিদ আহমদ ওরফে রশিদ মিয়া এবং কক্সবাজার শহর থেকে এলডিপির জেলা সভাপতি ছালামত উল্লাহ খানকে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।