ঢাকা: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে ২০-দলীয় জোট ঘোষিত চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শুক্রবার বিকেলে গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
খালেদা জিয়া বলেন, সংকট নিরসনে আমরা ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এজন্য আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত আমাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী চলমান আন্দোলনে সাময়িক যে ক্ষতি হচ্ছে, তা জনগণকে মেনে নেওয়ারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আন্দোলনে জনগণের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আমরা অবহিত। তাদের কষ্টও আমরা বুঝি।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘কিন্তু অবৈধ এই সরকারের কাছে ক্ষমতায় টিকে থাকায় মূল লক্ষ্য। আমাদের এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির আন্দোলন নয়। কোনো দলের বিরুদ্ধে দলের আন্দোলন নয়। এটি আদর্শিক আন্দোলন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
তিনি বলেন, জীবনের এই প্রান্তসীমায় এসে আমার কাছে ক্ষমতা বড় নয়। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেমেছি। আমাদের এই আন্দোলন দেশবাসীর কাছে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন।’
খালেদা জিয়া বলেন, এজন্য আমি দেশবাসীকে আন্দোলনের সময় সাময়িক যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, তা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আমার বিশ্বাস এই প্রক্রিয়াতেই এগিয়ে যেতে পারব। আমি চলমান আন্দোলনে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি চেয়ারপারসন আবারও সংলাপের তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘তথাকথিত হলেও বর্তমানে একটি সংসদ চলছে। আমি এই সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সরকারকে পদত্যাগ এবং সংলাপের উদ্যোগ নিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়ার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে না এলে একতরফাভাবে এই সরকারের ওপরই দায় বর্তাবে।’
বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। প্রায় আধা-ঘণ্টাব্যাপী এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ূম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।