রংপুর মহানগরীর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত পাজেরো জীপটি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এসআই আব্দুল আজিজ পিপিএম জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে ইমরান হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে আসামি পীরগাছার আদম পাড়ার মৃত ডা. কফিল উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল আলম, জুম্মাপাড়ার মাহবুবুর রহমানের ছেলে মোজাম্মেল হক মিন্টু, মাহিগঞ্জের রফিক মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া ও সেন্ট্রাল রোড এলাকার বিনয় গাঙ্গুলীর ছেলে তুষার গাঙ্গুলীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা কেউই এজহারে উল্লেখিত অভিযুক্ত আসামি নয়। তবে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইমরান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পাজেরো জীপ নিসবেতগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই পাজেরো জীপটি সিওবাজার এলাকার এক শ্রমিক নেতা সম্প্রতি কিনে নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ ই নভেম্বর সোমবার রাত আড়াইটায় মহানগর যুবলীগের ৩০নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের টোল আদায়কারী ইমরানকে সাতমাথায় কোপায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ভোরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার জেরে সাতমাথায় পিকআপ মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের শাখা অফিস বাস মোটর সাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং তাজহাট মোড়ে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও বাসে আগুন দেয় ইমরান সমর্থিতরা। এ ঘটনায় ইমরানের ভাই বিপ্লব মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এমএ মজিদ, তার ভাগনে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিকআপ মালিক সমিতির সেক্রেটারি আশরাফুল আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে। অন্যদিকে প্যানেল মেয়র ফরিদা কালাম ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে অপর একটি মামলা দায়ের করে।