রংপুর: রংপুরের মিঠাপুকুরে পুলিশের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নাজমুল হুদা লাবলু নিহত হয়েছেন। নিহতের পরিবার বলেছে, পুলিশ লাবলুকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়েছে। রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার বলদী পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা গোয়েন্দা দফতরের সিনিয়র উপ পরিদর্শক শরীফুল্লাহ নয়নের দাবি, রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বলদীপুকুর এলাকায় এক দল দুর্বৃত্ত গাছ কাটছিল। এ সময় টহল পুলিশ তাদের বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে।পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়লে দুর্বৃত্তরা পালিলে যায়। পরে পাশের একটি পুকুর থেকে নাজমুল হুদা লাবলুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
তিনি জানান, নিহত লাবলু শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মিঠাপুকুর উপজেলা সভাপতি ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক উপজেলা সভাপতি।তিনি উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের নরুন্নবী শাহ’র পুত্র। তার বিরুদ্ধে নাশকতার এধাধিক মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত লাবলুর পিতা নুরুন্নবী শাহ নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, রোববার রাতে পুলিশ আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে ‘বন্দকযুদ্ধে’ নাটক সাজিয়েছে।
তিনি এ ঘটনায় দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেছেন রংপুর মহানগর জামায়াত, শিবির ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।ঘটনার পর থেকে রংপুরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।