নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য গড়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
সোমবার নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের উচিত ‘জাতীয় সংলাপের’ আয়োজন করা।
“এ সংলাপ লোক দেখানোর জন্য করলে হবে না। আন্তরিকতা নিয়ে সকলকে বসতে হবে। জঙ্গিবাদ দমনে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসার প্রস্তাব আগেই নাকচ করেছেন। তিনি বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য ‘ইতোমধ্যে হয়ে গেছে’ বলে তিনি মনে করেন।
অবশ্য অন্যদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ‘১৪ দলীয় জোটের ঐক্যকে’ জাতীয় ঐক্য বলা যায় কি না- সেই প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি।
পাঁচ দিনের সফরে সোমবার নিউ ইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ। জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম মেম্বার সুনীল শুভ রায়, নাসরীন জাহান রত্না, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব খালেদ আকতার, ব্যারিস্টার ফারাহ ফিজা বিনতে আমিন ও আশিক আমিন তার সঙ্গে রয়েছেন।
বিমানবন্দরে এরশাদকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি আবু তালেব চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ওসমান চৌধুরী ও আব্দুন নূর ভূইয়া।
বিমানবন্দরে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে এরশাদ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার জ্যাকসন হাইটসের নান্দুস পার্টি হলে এরশাদকে সংবর্ধনা দেবে দলের যুক্তরাষ্ট্র শাখা।
প্রধানমন্ত্রীর এ বিশেষ দূত মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ও ওবামা প্রশাসনের কয়েকজন ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির নেতারা জানিয়েছেন।