ঢাকা: অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা খ্যাত একে ফজলুল হকের ১৪২তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে নিপীড়িত মানুষকে জমিদারদের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেন। যার ফলে বাঙালি জাতি শিক্ষার আলো দেখতে পেয়েছে। ১৮৭৩ সালের এই দিনে ঝালকাঠি-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজাপুরের সাতুরিয়ার মিয়া বংশের জমিদার বাড়িতে জন্মেছিলেন শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক। জন্মস্থানে তার বহু জন্মস্মৃতি থাকলেও তা এখন বিলুপ্তপ্রায়। শেরে বাংলার ব্যবহূত নানা আসবাবপত্রও খোয়া গেছে সংরক্ষণের অভাবে।
তার বাবা কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ আলী একজন প্রখ্যাত আইনজীবী ছিলেন। তার মায়ের নাম বেগম সৈয়দুন্নেছা। তার জন্মের পর প্রায় দেড়শ বছর কেটে গেলেও অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে শেরে বাংলার জন্মভবনটি।
শৈশবের বেশির ভাগ সময় তিনি মামা বাড়িতেই কাটিয়েছেন। এখানে ঘাট বাঁধানো পুকুরে গোসল করা, পাশের নদীতে সাঁতার কাটা, গাছ থেকে বাদাম পেড়ে খাওয়াসহ অনেক স্মৃতি পড়ে আছে এই বাড়িতে। তবে তার জন্মস্থান সাতুরিয়ায় মিয়া বাড়ির সেই আঁতুড়ঘর ও দালান এখন সংস্কারবিহীন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। অনেক জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। এমনকি তার প্রতিষ্ঠিত সাতুরিয়া এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিরও বেহাল দশা।