নিউজ ডেস্ক: শেলা নদীতে ভারি নৌযান চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ নাকচ করে দিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। রোববার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় শেলা নদীতে স্থায়ীভাবে নৌ চলাচল বন্ধের যে সুপারিশ করেছে, তা এখন ভাবা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, শেলা নদীর চ্যানেলটি সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় জাহাজগুলোকে ১০০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে জাহাজগুলো নবগঙ্গা, আত্রাই ও মধুমতি নদী দিয়ে চলাচল করতে পারত, কিন্তু নদীগুলোতে ব্রিজ থাকায় জাহাজ চলাচল সম্ভব নয়।
গত ৯ই ডিসেম্বর একটি জাহাজের ধাক্কায় সাড়ে ৩ লাখ ফার্নেস অয়েলবাহী একটি ট্যাংকার ডুবে যায়। ওই তেল ছড়িয়ে পড়লে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশে বিপর্যয় দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে বনের ভেতর দিয়ে শেলা নদীতে নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় নৌমন্ত্রণালয়। একই পেক্ষাপটে রোববার সুন্দরবনে সব ধরণের বাণিজ্যিক নৌযান চলাচল বন্ধে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ওই পথে নৌযান চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধের সুপারিশ করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শাজাহান খান। উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব আবুল কালাম আজাদ, নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু বকর সিদ্দিক, প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার রাকিবুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ল ম আব্দুর রহমান। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং মংলা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বুয়েটের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে।