ঢাকা: সরকার, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একযোগে কাজ করলে দেশের গার্মেন্টস সেক্টরের যথাযথ উন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রতিষ্ঠাতা এবং উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. পিটার আইগেন। এজন্য Extractive Industries Transparency Initiative (GITI) গঠন করে এই সেক্টরে অবদান রাখতে চান তিনি। সোমবার রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ড. আইগেন।
ড. আইগেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরের মুনাফা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের অবদান এবং প্রায় চার মিলিয়ন গার্মেন্টস শ্রমিকের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে Extractive Industries Transparency Initiative (EITI)-এর আদলে GITI কাজ করে যাবে। এ লক্ষ্যে ২০১৩ সালে GITI প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং এর কাজ শুরু করতে আরো এক বছর সময় লাগবে।
বাংলাদেশে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) কার্যক্রম সম্পর্কে ড. আইগেন বলেন, বিশ্বের ১১০টি দেশে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। টিআইবি’র কারণে বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং এর সাথে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা বার্তা ইতোমধ্যে জনগণের মাঝে পৌঁছে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন; টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
টিআইবি’র কার্যক্রম সম্পর্কে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশে আইন যেমন রয়েছে তেমনি আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। কিন্তু আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব আমরা লক্ষ্য করছি। তাই কীভাবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে টিআইবি।