স্পোর্টস ডেস্ক: চার ম্যাচ, চার হার! এমন একটি অবস্থায় একটি দলের ড্রেসিং রুম বা খেলার মাঠ এমনকি সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক কেমন হতে পারে তা খুবই অনুমেয়। আর ঠিক এই পরিস্থিতিরই শিকার মুশফিকুর রহিমের ‘সিলেট সুপারস্টার্সের’। দলে বড় নাম নেই, এমনটিও নয়। রাভি বোপারা-ওয়াইজ শাহ-জশ কব-ফিডেল এডওয়ার্ডস-অজান্থা মেন্ডিস সবাই তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের একেকজন নামিদামী খেলোয়াড়।
তবু কেন নেই চার ম্যাচে কোন জয়?
উত্তরটাও ঠিক জানা নেই সুপারস্টার্সদের, টানা চতুর্থ ম্যাচে হারার পর সেদিন শামীম চৌধুরীর ঠিক এই প্রশ্নের জবাবটিই দিতে পারলেন না মুশফিক। মাথা নিচু করে ধীর গলায় বললেন, আসলে আমিও বুঝছিনা। আমারও এটি জানা নেই।
মুশফিক না জানলেও এই মুহূর্তে আমরা জানি। এই কেন-এর উত্তর জানতে গিয়েই যে আবিষ্কৃত হলেন সিলেটের সবচাইতে বড় নাম, সবচাইতে বড় ‘সুপারস্টার’, শহিদ আফ্রিদি।
তবে কি আফ্রিদির জন্যেই অপেক্ষা করছে সিলেটের জয়ভাগ্য? আফ্রিদির অনুপস্থিতিই কি সিলেটকে তাদের জয় পেতে দিচ্ছেনা?
যদি ঠিক তাইই হয়, তাহলে আর মাত্র একদিন, অর্থাৎ আগামী ৩০ নভেম্বরই জয়ের মুখ দেখতে যাচ্ছে মুশফিকের সিলেট সুপারস্টার্স।
কেননা, আগামী ৩০ তারিখ থেকে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব থেকেই যে দলের বাকি সব ম্যাচের জন্য ‘এভেইল্যাবল’ হচ্ছেন এই পাকিস্তানি মহাতারকা। ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজ শেষ হয়েছে গতকাল ২৭ নভেম্বর। আর আগামী কদিনে পাকিস্তান জাতীয় দলের কোন খেলাও নেই। ফলে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে থাকা অধিনায়ক আফ্রিদিসহ বেশ কিছু খেলোয়াড় আজ রাতে আসছেন বাংলাদেশে।
ব্যাট ও বল হাতে দূর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন এই পাকিস্তানি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩ উইকেট নিয়ে বর্তমানে টি-টোয়েন্টির ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক তিনি। আবার ২য় ম্যাচে ব্যাট হাতে ৮ বলে ঝড়ো ২৪ রান করে তার দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে। যদিও শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারেননি তার দলকে, তবুও ব্যাটিং পারফর্মেন্স দিয়ে বিপিএলে নিজ দল বাদে বাকী সব দলের বোলারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছেন সেটি নিশ্চিত।
আর সিলেট সুপারস্টার্সের বর্তমান করুণ অবস্থায় আফ্রিদির এই ফর্ম খুবই গুরূত্বপূর্ণ। তাই এখন সিলেট সমর্থকগণ পেছনের ৪টি ম্যাচের ফলাফল ভুলে বিপিএলের এই আসরের নতুন মাঠ চট্টগ্রামে মুশফিক আর আফ্রিদির দলীয় রসায়ন আর পারফর্মেন্সের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন অনেক প্রত্যাশা নিয়ে।
সমর্থকদের এই প্রত্যাশা এখন খুবই যুক্তিযুক্ত, আর এমন প্রত্যাশা পূরণে শহিদ আফ্রিদির চেয়ে সেরা আর কেইই বা হতে পারেন?