ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) কোর্ট সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে গাজাভিত্তিক হামাসের নাম সংস্থাটির সন্ত্রাসী সংগঠনের কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। হামাসের আপিলের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইইউ’র জেনারেল কোর্ট মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় রাখা হয়েছিল।
ইইউ প্রথমে ২০০২ সালে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাত আল-কাসেম ব্রিগেডকে নিষিদ্ধ করেছিল। ওই সময়ে হামাসের সামাজিক ও রাজনৈতিক শাখা বৈধ ছিল। দ্বিতীয় ইন্তিফাদায় বেশ কিছু আত্মঘাতী হামলার প্রেক্ষাপটে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইইউ পুরো হামাসকেই নিষিদ্ধ করে।
হামাস ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করে। আবেদনে বলা হয়, হামাসকে নিষিদ্ধ করার সময় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। এতে দাবি করা হয়, তারা ‘একটি বৈধ-নির্বাচিত সরকার,’ তাদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা উচিত নয়।
আদালত হামাসের যুক্তি মেনে নিয়ে বলে, হামাসের কার্যক্রম পরীক্ষা না করেই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
হামাসের আইনজীবী লিলিয়ান গ্লোক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তিনি এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট।
হামাস কর্মকর্তা ইজ্জত আল-রিশক রায়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন আদালত সংগঠনটির ওপর করা অবিচারের প্রতিকার করেছে। তিনি হামাসকে ‘জাতীয় মুক্তি আন্দোলন’ হিসেবে অভিহিত করেন।
তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাতেই রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতি।