প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক এবং আগামীর সম্পর্কের ‘পথ নকশা’ সংক্রান্ত ৫৩ দফা যৌথ বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে। দিল্লির বিদেশ মন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে প্রচারিত ওই জয়েন্ট স্টেটম্যান্টে তিস্তা, সীমান্ত হত্যাসহ দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব ইস্যু নিয়ে আলোচনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। মোদি তার টুইটেও প্রায় সব বিষয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছেন।
তিস্তা নদীর পানি বন্টন বিষয়ে ২০১১ সালে প্রায় চূড়ান্ত হওয়া কাঠামো চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত চুক্তিটি সইয়ের কথা বললে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার স্টেট হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে এটি নিষ্পত্তির ফের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ওই বৈঠকে বাংলাদেশ আচমকা ফেনী নদী থেকে ত্রিপুরার সাবরুম এলাকার জন্য পানি দেয়ার চুক্তি সই করেছে। বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে ঢাকার বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে বিবৃতিতে বরাবরের মত এনআরসি’কে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এনআরসি নিয়ে ঢাকায় বিস্তর উদ্বেগ-অস্বস্তি থাকলেও বৈঠকে প্রসঙ্গটি এসেছিল কি-না? তার কোন উল্লেখ ছিল না। বিবৃতিতে কাশ্মির প্রসঙ্গও অনুপস্থিত।
যদিও ঢাকার তরফে আগেই বলা হয়েছে- কাস্মির ইস্যুটি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বলে মনে করে বাংলাদেশ।
প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের বরাতে শীর্ষ বৈঠকের নানা সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে যুক্ত বিবৃতিতে। বলা হয়েছে- দুই প্রধানমন্ত্রী উষ্ণ এবং খুবই আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা করেছেন। তারা ৩টি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন ভিডিও কনফারেন্সে। ৭টি চুক্তি-সমঝোতা সাইয়ের আনুষ্ঠানিকতায়ও তারা উপস্থিত ছিলেন। দুই দেশের সম্পর্কে গভীরতা এবং বিস্তুৃতির বিদ্যমান অবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উভয়ে। বৈঠকে তারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সমপর্কন্নোয়নে আর কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নিয়ে গঠনমূলক ও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সমপর্ক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দুই দেশের জন্যেই লাভজনক হবে এমন সুযোগগুলোকে শতভাগ কাজে লাগাতে উভয় নেতাই সম্মত হয়েছেন। বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ন ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার ভিশনকে সমর্থন জানিয়েছেন মোদি। এর আগেও পূর্ন সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে বিবৃতিতে জানানো হয়, মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি তা গ্রহণ করেছেন এবং দুই দেশের কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনায় সফরের দিনক্ষণ ঠিক করার তাগিদ দিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.