অনলাইনে সার্টিফিকেট সত্যায়িত করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0
629
blank
blank

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্স-স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন সিলেটের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় পাসপোর্ট, শিক্ষাগত সার্টিফিকেট ও জমির কাগজ জালিয়াতি হয়।পাসপোর্ট জালিয়াতি বন্ধে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু হবে। এছাড়া জালিয়াতি বন্ধে অনলাইনের মাধ্যমে সার্টিফিকেট সত্যায়িত করা হবে। যার ফলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে, মানুষের হয়রানি কমবে এবং সময় বাঁচবে।

তবে সার্টিফিকেট সত্যায়িত করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে তাদের ডাটাবেজের মাধ্যমে দ্রুত স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট সত্যায়নের প্রয়োজন হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যেকোন আবেদনকারীর সার্টিফিকেট যাচাইয়ের প্রয়োজন বোধ করলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে পাঠিয়ে দেবো। তারা সঙ্গে সঙ্গে তা সত্যায়িত করে দেবেন। আমরা সেই ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বিদেশে বাংলাদেশী মিশনে ২৪ ঘন্টা হটলাইন চালু করা হবে। বিমান বন্দরে হয়রানি বন্ধে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও তদারকি করা হবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুকে বাংলাদেশী প্রবাসীরা আলোচনা অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তুলে ধরবে এবং এ বিষয়ে তারা সারাবিশ্বে সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে আশা করেন ড. মোমেন। সরকারের অর্থনৈতিক কূটনীতি বাস্তবায়নে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিতেও প্রবাসীরা সাহায্য করবে বলে মনে করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা চাই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে এবং সেখানে সবাই সুখে-শান্তিতে থাকবে। কিন্তু আমাদের অনেক প্রজেক্ট যথা সময়ে বাস্তবায়ন হয় না। এগুলো বাস্তবায়নে কিভাবে আরো গতি আনা যায় সে বিষয়ে আমাদেরকে আরো গবেষণা করতে হবে এবং সচেতন বৃদ্ধি করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা বহু শখ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে এই স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন। এই রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন তাও দিয়ে গেছেন। বড় বড় ৭৬ সংস্থার সদস্য পদ অর্জন করেছেন।

তিনি বলেন, এখন আমাদের বড় দায়িত্ব হচ্ছে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। যা হবে উন্নত, সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল, অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। যেখানে ধনি-দরিদ্র্যের আকাশসম ফারাক থাকবে না। যেখানে সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সোনার বাংলার পথে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা বিজয়ের জাতি, কঠিন পথ অতিক্রম আমাদেরকে বিজয়ী হতে হবে। কারণ, মনে রাখতে হবে বাঙালি বিজয়ের জাতি। আমরা পারবো, আমরা বিজয়ী হব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্স-স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন সিলেটের আহ্বায়ক, সিলেট এমসি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সালেহ আহমদের সভাপতিত্বে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান প্রমুখসহ সিলেটে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপি এই পুনর্মিলনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।