আইন হবে জন ও মিডিয়াবান্ধব: আইনমন্ত্রী

0
496
blank

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এটা একটি ভালো আইন হবে, কালো আইন নয়। তিনি বলেন, ‘এই আইনটি জনবান্ধব ও মিডিয়াবান্ধব হবে। সংসদের আগামী অধিবেশনে আইনটি পাস হতে পারে।’ বুধবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক আনিসুল হক এ কথা বলেন। বৈঠকে দ্যা ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, একুশে টিভির সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও একাত্তর টিভির সিইও মোজাম্মেল বাবু উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের আলোচনায় দুটি জিনিস বেরিয়ে এসেছে, প্রথমটি হল- এই আইনটার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমরা সকলেই ঐক্যমত প্রকাশ করেছি। দুই, এই আইনটা গণবান্ধব ও মিডিয়াবান্ধব হোক এটাই আমরা চাই। একটা ভাল আইন হওয়ার যে পথ এই আলোচনায় সেই পথ পরিস্কার হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা আইন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই এক্সারসাইজ চলতে থাকবে।

আনিসুল হক বলেন, প্রথমে আমরা কিছু সংখ্যক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছিলাম, পরে এডিটর্স কাউন্সিল, বিএফইউজে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার লোকজন আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তখন আমি বলেছিলাম, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এই আইনটি আছে। সেখানে তারা তাদের মতামত দেবেন, সেখানে তারা দু’দুবার গেছেন। গত মিটিংয়ে তারা অনুরোধ করেছিলেন আমার সঙ্গে আরেকবার বসবেন সেই বসাই আজকে।

তিনি বলেন, যে সংশোধনগুলো আনা হয়েছিল সেগুলো নিয়ে তারা আলাপ-আলোচনা করেছেন। তারপরও কিছু কিছু ব্যাখ্যা তারা আমার কাছে চেয়েছেন। আর নতুন কিছু সাজেশন দিয়েছেন। আইনটার বিষয়ে এমন যেন একটা পারসেপশন না হয় যে এটা সংবিধানে বাক স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকতায় স্বাধীনতা দেয়া হয়েছিল, সেটা যেন বন্ধ না করে। সেখানে আমি আগেও বলেছি, এখনও পরিস্কারভাবে বলতে চাচ্ছি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কিছুতেই বঙ্গবন্ধুর দেয়া সংবিধানের বাক স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা খর্ব করে কোন আইন করবে না।

মন্ত্রী বলেন, এই আইনটার মধ্যে কিছু কিছু প্রটেকশনের কথা বলা হয়েছে যে, সেখানে ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে সেগুলো যাতে আমরা আরেকটু ভালভাবে দেখি। সেই সুপারিশগুলো আমরা নিয়েছি। আমাদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে, সেই সুপারিশগুলো আমি পৌঁছে দেব। আমি এগ্রি করেছি, আমরা আরেকবার বসব। তারপর সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যে সিদ্ধান্ত হবে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলটা পাস হবে। যাতে পুরনো আইনের অভিজ্ঞতা হয়েছে সেগুলো দূর করে আমরা যেন সারা বিশ্বের কাছে একটা রোল মডেলের মতো আইন করতে পারি।