আওয়ামী লীগের জন্য আফসোস!

0
556
blank
blank

গোলাম মাওলা রনি: ইচ্ছে হচ্ছিল ‘সময়’কে নিয়ে কিছু লিখার। কারণ সময়কে সবাই মহামূল্যবান এবং অমূল্য রত্ন বলতে বলতে এমন একটি অবস্থা বানিয়ে ফেলেছে যে সময়ের ভাবমর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তোলার লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অথচ সময়ের চেয়ে নির্মম ও নিষ্ঠুর এই পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না। সময় এক দিকে যেমন দ্রুত পরিবর্তিত হয়, তেমনি ক্ষণে ক্ষণে এটির রঙ বদলাতে একটুও দেরি হয় না। এটি কোনো দিন কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়নি এবং কারো কাছে ক্ষণিকের তরে ধরাও দেয়নি। হাতে গোনা কিছু প্রজ্ঞাবান মানুষ অথবা হিদায়াতপ্রাপ্ত অলি-আউলিয়া ছাড়া সবাই সময় কর্তৃক প্রতারিত, লাঞ্ছিত এবং অপমানিত হওয়ার আগে সময়ের প্রেমে পড়ে মারাত্মকভাবে প্রলোভিত হয়ে হাবুডুবু খেয়েছিল।
সময় হলো সবচেয়ে বড় বেশরম ও বেহায়া। সময় সর্বকালেই বর্তমানকে ক্ষমতাবানদের হাতে ছেড়ে দিয়েছে এবং মজলুমকে নিয়ে রঙতামাশায় মেতে উঠেছে। অন্য দিকে অতীতের ক্ষমতাবানদের লাঞ্ছিত ও অপমানিত করতে ঐতিহাসিকভাবে সময় যে নিষ্ঠুর আচরণ করে তেমনি অতীতের মজলুমদের পক্ষাবলম্বন করতে তার একটুও লজ্জা-শরমের বালাই থাকে না। অনাগত সময় সব মানুষের কাছেই দুর্বোধ্য। কখনো এটি হয় প্রচণ্ড বিভীষিকার আবার কখনো বা মানুষের দু’চোখ ভরে স্বপ্নের আবেশের মধুময় স্পর্শ বুলিয়ে বর্তমান সম্পর্কে বেখবর করে তোলে। ২০১৭ সালের সময়কে নিয়ে ভাবতে বসে আমার কেন জানি শিরোনামের শব্দমালার পূর্বাপর ঘটনাগুলো বারবার তাড়িত করছিল। বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল তাদের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে কতটা চিন্তাভাবনা করছে তা আমার জানা নেই। তবে ক্ষমতার কেন্দ্রে বসা লোকজনের ওপর যে সময়ের চিরায়ত আছর ভর করেছে তা দিব্যি করে বলার জন্য খুব বেশি পাণ্ডিত্যের দরকার নেই।
বর্তমানকালে আওয়ামী লীগকে নিয়ে প্রকাশ্যে আফসোস করার মতো বান্ধব আমি ছাড়া আরো কতজন রয়েছে তা জানি না। তবে গোপনে অথবা নীরবে-নিভৃতে দলটির জন্য চোখের পানি ফেলেন এমন লোকের সংখ্যা লাখ লাখ। কিংবা নিজেদের মধ্যে একান্ত পরিবেশে বা ঘরোয়া আলোচনায় দলের ভূতভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ এবং বর্তমানের কর্মকাণ্ড নিয়ে আফসোসকারীদের সংখ্যা কোটির ওপর। এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার যে, আফসোস করা এবং সমালোচনা করার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। অন্য দিকে সমালোচনা এবং নিন্দার মধ্যে যেমন পার্থক্য রয়েছে তেমনি নিন্দা ও ঘৃণা জানানোর ব্যবধানও কিন্তু বিস্তর। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে দু-চারটি উপসম্পাদকীয়তেও স্থানসঙ্কুলান হবে না। কাজেই ওদিকে না গিয়ে কেবল এক কথায় বলা যায় যে শুধু সুহৃদ এবং শুভানুধ্যায়ীরাই কারো জন্য আফসোস করতে পারে।
সময় যে আওয়ামী লীগের সাথে প্রতারণা করছে তার সবচেয়ে বড় নমুনা হলো দলটির কোনো দৃশ্যমান প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। মানুষ নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা খুব ভালো করে জানেন যে, প্রতিদ্বন্দ্বীহীন মানুষের মনমানস এবং জীবিকা-অহমিকা এবং অলসতার কোন স্তরে গিয়ে পৌঁছায়! বেশির ভাগ মানুষই সময়ের ধোঁকাবাজিতে আচ্ছন্ন হয়ে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের এমনভাবে শেষ করে দেয় যাতে করে তাদের নিজেদের শেষ হওয়ার সময় উহ শব্দ উচ্চারণ করার মতো কেউ আর অবশিষ্ট থাকে না। ঐতিহাসিকবৃন্দ উত্তম প্রতিদ্বন্দ্বীকে আপন ভাইয়ের চেয়েও আপনতর বান্ধব বলে উল্লেখ করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বীহীন মানুষ তার প্রতিদ্বন্দ্বীদেরকে শেষ করার পর ক্রমেই তার আশপাশের আপনজনের বিরুদ্ধে নির্মম এবং নিষ্ঠুর আচরণ শুরু করে। সন্দেহ অবিশ্বাস এবং দাম্ভিকতার কারণে তার স্বাভাবিক মানবিক সত্ত্বা বিনষ্ট হয়ে পড়ে। সে ক্রমেই একাকী এবং নিঃসঙ্গ জীবনকে বেছে নিতে শুরু করে এবং শেষমেশ নিজের ওপর অবিচার শুরু করে নিজেকেই শেষ করে দেয়।
রাজনৈতিকভাবে সময়ের দ্বারা প্রতারিত ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত রাজপুরুষের নাম সম্রাট ক্যামবিসেস। তিনি ছিলেন দুনিয়ার সর্বকালের সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সাম্রাজ্যের রাজাধিরাজ। তার পিতার নাম ছিল সাইরাস দি গ্রেট, যার বিশালত্বের সাথে তুলনীয় সম্রাট ইতিহাসে দ্বিতীয়জন নেই। সাইরাসের মৃত্যুর পর ক্যামবিসেস যখন ক্ষমতায় বসেন তখন পুরো মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য এশিয়াসহ আফগানিস্তানে তার শাসন চলছে। তার সাম্রাজ্যের আশপাশে একমাত্র মিসর ছাড়া অন্য কোনো উল্লেখযোগ্য স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না। সুতরাং তিনি মিসর জয়ে বের হওয়ার আগে শুধু সন্দেহের বশবর্তী হয়ে আপন ভাইকে হত্যা করলেন এবং সিংহাসন ও রাজরক্তকে একান্তভাবে করায়ত্ত করার জন্য আপন বোন মাহরুইয়াহকে সাদি করলেন।
মিসরের ঐতিহ্যবাহী হাজার বছরের পুরনো ফেরাউন সাম্রাজ্য সম্রাট ক্যামবিসেসের হাতে পতন হয় এবং ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মিসর পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সম্রাট যখন মিসরে বিজয় উৎসব করছিলেন তখন একদিন বিকেলে শুরু হয় কুকুরের লড়াই। বিজয়ী কুকুরটি পরাজিত কুকুরকে কামড়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেয়ার পর যখন উল্লাসনৃত্য করছিল, তখন পরাজিত কুকুরটির ভাই এসে আহত স্বজনের পাশে দাঁড়িয়ে মর্মান্তিকভাবে আহাজারি শুরু করে দেয়। এই দৃশ্য দেখে ক্যামবিসেসের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী মাহরুইয়াহ ডুকরে কেঁদে ওঠেন। সম্রাট কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে সম্রাজ্ঞী বললেন- আফসোস! কোনো দিন যদি আপনার অবস্থা পরাজিত কুকুরটির মতো হয় তবে আপনার জন্য শোক প্রকাশের জন্য কাউকে আপনি অবশিষ্ট রাখেননি। সম্রাজ্ঞীর আশঙ্কা কতটা নির্মমভাবে সম্রাটের জীবনে ঘটেছিল তা ইতিহাসের পাঠকের অজানা নয়।
নিষ্ঠুর সময় আওয়ামী লীগকে নানাভাবে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে। তারা কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। দলটির সাধারণ সম্পাদকের কণ্ঠে বাহারি হতাশামূলক কথাবার্তা প্রায়ই শোনা যায়। তার ‘কাউয়া ডকট্রিন’ হাল আমলের বেশ আলোচিত এবং দেশের সব গণমাধ্যম তা গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, দিনে আওয়ামী লীগ এবং রাতে বিএনপি-জামায়াত করা নেতাকর্মীদের তার দরকার নেই। সময়ের নিষ্ঠুর পরিক্রমা ব্যক্তিকে যেমন উতলা করে তোলে, তেমনি ব্যক্তির গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা উল্টো পথে ঘুরতে থাকে। এ অবস্থায় ব্যক্তি যা-ই করুন না কেন লোকজন তাকে বিশ্বাস করে না। ব্যক্তি সত্য কথা বললেও লোকজন ধরে নেয় যে মিথ্যাচার হচ্ছে। ব্যক্তি যদি কারো উপকার করতে এগিয়ে আসে তবে উপকারপ্রার্থী কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পরিবর্তে আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়ে এবং উপকারীকে অভিসম্পাত করতে থাকে।
সময় তার ক্ষমতাবান বন্ধুকে অত্যন্ত কৌশলে জীবন্ত লাশ বানিয়ে ফেলে। তার ক্ষমতার শেকড়গুলোতে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের পোকা ধরিয়ে দেয়। তার আপনজনদের মধ্যে ছোটখাটো স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ বাধিয়ে দেয়। তার শত্রু এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদেরকে নির্জীব ও নির্মোহ করে তোলে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে আপনজনেরা সেভাবে কাছাকাছি আসার সুযোগ পায় তেমনটি হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় না। সময় কাউকে খরচের খাতায় ফেলে দেয়ার আগে লোকটিকে ভাবমর্যাদার সঙ্কটে ফেলে দেয়। এ অবস্থায় তার প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রূপান্তরিত হয় ভয়ে। মানুষ অকারণে তাকে দায়ী করে গালাগাল দিতে থাকে। মানুষের অসহযোগ ও অসহযোগিতার সাথে তাদের নির্লিপ্ত মনোভাব দেখার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। একধরনের নিঃসঙ্গতা এবং একঘরে অবস্থার কারণে ব্যক্তি এক দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করতে থাকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে সময়ের এই বেইমানি কতটা প্রভাব বিস্তার করছে তা বিবেচনার ভার পাঠকদের ওপর দিয়ে আমরা অন্য প্রসঙ্গে চলে চাই।
বর্তমান আওয়ামী লীগ যদি ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৬, তারপর ১৯৭২ থেকে ১৯৮৬ এবং সর্বশেষ ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময় কালকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তবে তাদের সাথে সময়ের নির্মম আচরণের হাজারো নমুনা খুঁজে পাবে। উত্তরবঙ্গে বাসন্তীর জাল পরিহিত ছবি, শেখ কামাল কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংক লুটের গুজব প্রভৃতি বাস্তবতাবিবর্জিত ভিত্তিহীন প্রপাগান্ডা আওয়ামী লীগকে যে কতটা ক্ষতি করেছিল তা আওয়ামী লীগ যতটা না অনুধাবন করতে পারে, তার চেয়েও ওসব ঘটনাকে বেশি মূল্যায়ন করে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। কারণ, সত্য ঘটনাকে মোকাবেলা করা সম্ভব কিন্তু মিথ্যা গুজবকে সহজে মোকাবেলা করা যায় না। আওয়ামী লীগ যদি সত্যকে পরিহার করে একটি গুজব সৃষ্টি করে তবে তার প্রতিপক্ষরা নির্ঘাত ১০টি আকর্ষণীয় গুজব সফলতার সাথে তৈরি করে বাজারে ছেড়ে দেবে বিপণনের জন্য।
আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে খোন্দকার মোশতাককে দায়ী করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের জন্য। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হলো মোশতাক একা ছিলেন না। ১৯৭৫ সালের ঘটনাকে নির্মোহভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করলে খোন্দকার মোশতাককে একজন পাপেট ছাড়া অন্য কিছুই মনে হবে না। মোশতাকের সহযোগী, বুদ্ধিদাতা এবং হুকুমদাতারা ছিল তার তুলনায় শত সহস্র গুণ শক্তিশালী। মোশতাকের পরিচালকেরা কতটা শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত ছিল তা মোশতাক মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের উপস্থিতির তালিকা দেখলেই বোঝা যায়। আওযামী লীগ উঁচুগলায় মোশতাকের সমালোচনা করে; কিন্তু মোশতাক সৃষ্টির প্রেক্ষাপট এবং মোশতাক তৈরির কারিগরদের নিয়ে মাথা ঘামায় না। অন্য দিকে মোশতাককে ব্যবহার করে তাকে বিক্রি করে যারা আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছিল, সেই সব লোকের ব্যাপারে দলটি সতর্ক না হওয়ার কারণেই ১/১১-এর সময়ে দলের মধ্যে শক্তিশালী সংস্কারবাদী গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছিল, যারা মোশতাকের মতো সুযোগ পেলে আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটানোর জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আফসোস হলো- ১/১১ হোতারা হাল আমলে দলের মধ্যে আবার শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
আওয়ামী লীগ তাদের অতীত বিপর্যয়গুলো যথাযথভাবে মূল্যায়ন এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারার কারণে আরো বড় বড় বিপর্যয় বর্তমান সময়ে এসে তাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। ১৯৭২-৭৫-এর লবণ কেলেঙ্কারি, বাসন্তীর জাল পরিহিত ছবি, বাকশাল গঠন, রক্ষীবাহিনীর সীমাহীন অত্যাচার ইত্যাদির চেয়ে বর্তমান জামানার শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংক লুট, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লোপাট, হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের কোটি কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি, অর্থ পাচার, দুর্নীতি, দলীয়করণ ইত্যাদি অপকর্মগুলো হাজার গুণ প্রলয়ঙ্করী গজব হিসেবে আওয়ামী লীগের ললাটে কলঙ্কের তিলক হিসেবে আজাবের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আওয়ামী লীগের অন্তঃপ্রাণ নিবেদিত নেতাকর্মীদের নিরন্তর আফসোসের কারণ হলো খোন্দকার মোশতাকের চেয়ে শত গুণ ধুরন্ধর, লোভী ও নিষ্ঠুর ফটকাবাজরা আজ হাইব্রিড অথবা কাউয়া রূপে আবির্ভূত হয়ে দলটিকে অক্টোপাসের মতো পেঁচিয়ে ধরেছে। আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারেন যে, বর্তমান জামানার একটি কলঙ্কের সাথেও তাদের সম্পৃক্ততা নেই- অথচ দলের নাম ভাঙিয়ে কিছু মুখচেনা সুবিধাবাদী যেসব সর্বনাশ ঘটিয়েছেন তার দায় পুরো দলকেই বহন করতে হবে এবং দুর্ভোগ পোহাতে হবে দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে, যাদের ঘাম-রক্ত ও আত্মত্যাগের কারণে দল আজ ক্ষমতায়।