আন্তঃদেশীয় গ্রিডলাইন উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি

0
467
blank

স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের ত্রিপুরা থেকে আন্তঃদেশীয় গ্রিডলাইন দিয়ে বাংলাদেশে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সকালে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ১০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ ভারতে রপ্তানির বিষয়টিও হাসিনা-মোদির টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে শুরু হলো। ত্রিপুরা-কুমিল্লা আন্তঃদেশীয় এই গ্রিডের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই ভারত-বাংলাদেশ ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইনটিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হয়েছে।

আন্তঃদেশীয় গ্রিড লাইন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ রফতানি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলক স্থাপন হলো।

তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গভীর হয়। এ অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমরা চাই, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান।

অপর প্রান্ত থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ঐতিহাসিক এ মুহূর্ত আজ আমাদের মধ্যে এমন এক গেটওয়ে খুলছে, যা আমাদের আরো সামনে অগ্রসর হতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, আসাম, ত্রিপুরাসহ এ অঞ্চলের জন্য যে ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন করা হয়েছে, তার ধারণক্ষমতা আমরা প্রথম থেকেই বেশি রেখেছি। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আমরা আরো বেশি বিদ্যুৎ রফতানি করতে পারবো।

আন্তঃদেশীয় এ লাইন দিয়ে ত্রিপুরার পালাটানা গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে। বিদ্যুৎ আনতে বাংলাদেশ অংশে ২৭.৮ কি.মি. ও ভারতে অংশে ২৪ কি.মি  সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। লাইনটি বাংলাদেশে কুমিল্লার কসবা দিয়ে প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে গ্রিড লাইনটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫২ কিলোমিটার।

আমদানিকৃত এই বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে সাড়ে পাঁচ রুপি বা ৬.৪৩ টাকা। এই বিদ্যুৎ কুমিল্লা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যবহৃত হবে। তবে ত্রিপুরা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে গত ১৬ মার্চ থেকে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমদানি শুরু হলো আজ বুধবার।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকেই এই বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দামের বিষয়টি মীমাংসিত না হওয়ায় তখন থেকে তা আসেনি। গত ৯ জানুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের ঊর্ধ্বতন সরকারি পর্যায়ের এক সভায় দামের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।

এর আগে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে। এই ৫০০ মেগাওয়াটের ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রতি ইউনিট কেনা হচ্ছে আড়াই টাকা দরে। বাকি মেগাওয়াট ইউনিটপ্রতি সাড়ে চার টাকা দরে আনা হচ্ছে।