আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলাকারীরা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না: প্রধানমন্ত্রী

0
700
blank

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আবার কোনো অশুভ শক্তি ক্ষমতায় এসে যেন জনগণের সুখ ও স্বচ্ছন্দ্য কেড়ে নিতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশের মানুষ এখন একটু সুখের মুখ দেখতে আরম্ভ করেছে। আবার কোনো অশুভ শক্তি এসে যেন মানুষের সুখ স্বচ্ছন্দ্য কেড়ে নিতে না পারে, এটাই আমি দেশবাসীর কাছে এই মহান সংসদের মাধ্যমে আবেদন জানাব।’

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ১০ম জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের (বাজেট অধিবেশন) সমাপনী ভাষণে একথা বলেন। খবর বাসসের।

জনগণের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতের মত মারামারি, কাটাকাটি, সংসদে খিস্তী-খেউর যেন না শুনতে হয়। আবার যেন ওই ধরনের পরিবেশ না হয় যেখানে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নৌকা মার্কায় জনগণ ভোট দিয়েছিলেন বলেই আমরা সরকার গঠন করে তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। ২০১৪ সালে আবারো শত বাধার মুখে জ্বালাও-পোড়াও সবকিছু উপেক্ষা করেও তারা ভোট দিয়েছিলেন বলেই আমরা জয়ী হয়ে সংসদে এসে সরকার গঠন করে তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মানুষের কথা চিন্তা করেই এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সেই মোতাবেক আমরা উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ শান্তিপূর্ণ থাক, দেশের উন্নতি ও কল্যাণ হোক, মানুষ ভালো থাকুক- সেটুকুই চাই। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়া। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে পেরেছি। এখন দারিদ্র্যমুক্ত করাটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রত্যেকের একটা ঘর হবে, নিদেন পক্ষে টিনের ঘর হলেও হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে গৃহহীন হিসেবে সারাদেশে তালিকা করা হয়েছে। এখন তাদের গৃহনির্মাণে প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে।

প্রধানমন্ত্রী সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা এবং বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের প্রতি সংসদকে প্রাণবন্ত করে রাখায় এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই জাতীয় সংসদ দেশে গঠনমূলক সংসদীয় চর্চার একটি দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে দেশে আশ্রয়দানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছে, যেটা দেশের জন্য বিরাট অর্জন।

বিশ্বে এখন আর কোন দেশ বাংলাদেশকে অবহেলার চোখে দেখে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশ স্বীকার করেছে বাংলাদেশ কেবল উন্নয়নই করছে না তাদের উন্নয়ন স্থায়ীও হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী ভাষণে তার সরকারের শাসনামলে দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৮ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, জিডিপি নিয়মিত ৭ শতাংশে কোঠায় ধরে রাখা এবং এ বছর ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন, জনগণের গড় আয়ু ৭২ বছরে উন্নীতকরণ সহ দেশের বিভিন্ন আর্থসামাজিক উন্ননের চিত্র তুলে ধরেন।