আমরা চাই খালেদা জিয়া খালাস নিয়ে আসুন: হানিফ

0
526
blank
Hanif
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, আমরা চাই বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিজেকে নির্দোশ প্রমাণ করে আদালত থেকে খালাস নিয়ে আসুন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আদালতের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে, এটা আমরা দেখতে চাই না। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে জনতা ব্যাংক গণতান্ত্রিক কর্মচারি ইউনিয়ন-সিবিএ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, আপনি (খালেদা জিয়া) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আপনি নিজেকে নির্দোশ প্রমাণ করে আদালত থেকে খালাস নিয়ে আসুন, এটা আমরা চাই। এই দেশের কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী আদালতের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে, এটা আমরা দেখতে চাই না। তবে আপনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন না, এই আশঙ্কায় মামলার সময় নষ্ট করবেন, আর সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে অভিযোগ করবেন, এটাও জনগণ দেখতে চায় না।

তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে খালেদা জিয়া তৃতীয় অবস্থানে। এ খবরে লজ্জায় আমাদের মাথা হেট হয়ে যায়। আজকে বিএনপি নেতাদের বড় বড় কথা শুনে অবাক হই। যখন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রদের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বিদেশে পাচার করে বিনিয়োগদের খবর গণমাধ্যমে আসে। তখন খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়।

হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। কারণ উনি বলেছেন- আন্তর্জাতিক মিডিয়া খবর দিয়েছে, বিএনপির নেত্রী ও তার পুত্র ১২কোটি ডলার সৌদি আরবে বিনিয়োগ করেছেন। চুরি যে করল সেটা অপরাধ নয়, মিডিয়া প্রচার করেছে, সেটাও অপরাধ নয়। প্রধানমন্ত্রী কেন বললেন সেটা অপরাধ। একেই বলে চোরের মায়ের বড় গলা। ধিক্কার জানাই এসবের।

তিনি বলেন, আজকে বেগম খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আদালতের কাঠগড়ায় ঘুরছেন। কয়েকদিন আগে উনার কৌসুলি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে তড়িঘড়ি করে সাজা দেয়ার জন্য আদালত এ মামলা পরিচালনা করছেন। তড়িঘড়িটা করে কিভাবে? ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমালে তার বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে। ১০টি বছর এ মামলা নিয়ে টালবাহানা করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। ১৩৭ বার মামলায় সময় নিয়েছেন। আজকে এই কোর্ট, কালকে ওই কোর্ট, এভাবে আদালত বদল করেছেন। কারণ উনি জানেন, উনি অপরাধ করেছেন। এ অপরাধের তথ্য প্রমাণ আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে। এগেুলো সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণ হলে উনি দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে যেতে পারেন। এই আশঙ্কার কারণে এই কালক্ষেপণ করেছেন। যদি এভাবে করে করে কোনো রকম এই সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কোনোভাবে উনি সরকারের আসতে পারেন, তাহলে খালাস পেয়ে যাবেন।