আমি নির্দোষ: আদালতে খালেদা জিয়া

0
438
blank

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তিনি নির্দোষ, তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয়। আজ বৃহস্পতিবার এ মামলায় তার আত্মপক্ষ সমর্থন করে এ কথা বলেন। পুরান ঢাকার বকশী বাজারে আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর অস্থায়ী এজলাসে এ মামলার বিচার চলছে।

বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া ১৫-২০ মিনিট বক্তব্য দেন। আদালত ৮ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

আজ দুপুর পৌনে ১টা থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের ওপর শুনানিতে অংশ নিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া।

গত ১০ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দুই সপ্তাহের সময় চান। পরে আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু ওই তারিখে তিনি হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করলে আদালত ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
আদালত বিচারকাজের শুরুতেই এ মামলায় ৩২ জন সাক্ষীর দেয়া সাক্ষ্যের সারসংক্ষেপ পড়ে শোনান। এরপর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি আদালতকে বলেন, তিনি লিখিত কোনো বক্তব্য দেবেন না। নিজেই আদালতে বক্তব্য দেবেন। এর প্রত্যুত্তরে আদালত বলেছেন, খালেদা জিয়া যত ঘণ্টা বক্তব্য দিতে চান, দিতে পারবেন। সব বক্তব্য লিখে নেয়া হবে।

খালেদা জিয়া আদালতকে বলেন, সারা জাতি আজ লাঞ্ছিত, নির্যাতিত। সমগ্র বাংলাদেশকে আজ এক বিশাল কারাগার বানানো হয়েছে। সব খানে চলছে অস্থিরতা ও গভীর অনিরাপত্তাবোধ। মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বিরোধী দলের হাজার হাজার কর্মী এখন কারাগারে বন্দী। খালেদা জিয়া বলেন, তার দলের চার লাখের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ২৫ হাজারের মতো মামলা দেয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীরা নির্যাতন ও হয়রানির ভয়ে ঘরে থাকতে পারছেন না।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে মামলা করে দুদক। এতে ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়।