আশকোনায় রক্তপাত ছাড়াই জঙ্গিদের ধরার চেষ্টা হয়েছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
455
blank
blank

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আশকোনায় পুলিশের অভিযানের সময় কোনো ধরনের রক্তপাত ছাড়াই জঙ্গিদের ধরার চেষ্টা হয়েছিল। তবে বারবার আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলেও চারজন বাদে কেউ সাড়া দেয়নি। শনিবার বিকেলে রাজধানীর আশকোনায় জঙ্গি আস্তানার স্থান পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, জঙ্গি আস্তানায় সাতজন ছিল। তাদের মধ্যে চারজন আত্মসমর্পণ করেছে। নিহত হয়েছে দু’জন। আহত হয়েছে এক শিশু। নিহত দু’জনের মধ্যে একজন নারী, আরেকজন কিশোর। শুক্রবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার পূর্ব আশকোনায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান চলে বিকেল পর্যন্ত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বেলা সোয়া ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। পরিদর্শন শেষে সোয়া ৪টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দারা গোপন সংবাদে জানতে পারেন, এ বাড়িটিতে জঙ্গিরা অবস্থান করছে। এই তথ্যে শুক্রবার রাতে পুলিশ বাড়িটি ঘেরাও করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা রক্তপাত ছাড়াই জঙ্গিদের ধরার চেষ্টা করি। বাড়িটি ঘেরাওয়ের পর আত্মসমর্পণ করার জন্য বারবার জঙ্গিদের উদ্দেশে মাইকিং করা হয়। একপর্যায়ে নিহত জঙ্গি মেজর (অব.) জাহিদের স্ত্রী-মেয়ে এবং মুসার স্ত্রী ও মেয়ে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু তিনজন আত্মসমর্পণ না করে বাসার মধ্যে অবস্থান করে গ্রেনেড ও গুলি ছোড়ে। এরপরও পুলিশ চরম ধৈর্য দেখিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের অনুরোধ করা হলে একপর্যায়ে সুমনের স্ত্রী তার মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে আসে। পুলিশ লক্ষ্য করেছিল, সুমনের স্ত্রীর কোমরে ‘সুইসাইডাল ভেস্ট’। এর পরই তাকে হাত তুলতে বলে। কিন্তু সে হাত না তুলে সুইসাইডাল ভেস্টের ফিতা ধরে টান দিলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে সুমনের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। শিশুটি আহত হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরপর যে ছেলেটি ভেতরে অবস্থান করছিল তাকে আত্মসমর্পণের জন্য আবারও বলা হয়; কিন্তু সে কোনোমতেই রাজি হয়নি। একপর্যায়ে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এ সময় সে ভেতর থেকে গুলি ও গ্রেনেড ছোড়ে। কিছুক্ষণ পর গ্রেনেড ও গুলি করা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পুলিশ বাসায় ঢুকে ছেলেটির লাশ পড়ে থাকতে দেখে।